বার্তা পরিবেশক:

“চলো সবাই সঞ্চয় করি,ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় সহায়তা করি” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সারাদেশের সাথে একযোগে কক্সবাজারেও জেলা সঞ্চয় অফিসের আয়োজনে শুরু হয়েছে সঞ্চয় সপ্তাহ ও উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম।৭ থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত সঞ্চয় সপ্তাহ-২০১৮ পালন উপলক্ষে শনিবার সকাল ১০টায় জেলা সঞ্চয় অফিসের উদ্যোগে র‌্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের পক্ষে সহকারী কমিশনার মো: খোরশেদ আলম চৌধুরী প্রচারণামূলক বর্নাঢ্য র‌্যালীর মাধ্যমে সঞ্চয় সপ্তাহ উদ্বোধন করেন। র‌্যালী শেষে জেলা সঞ্চয় অফিসে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করে নিরাপদ ও ঝুকিমুক্ত থাকতে সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি।

আলোচনা সভায় জেলা সঞ্চয় অফিসার দিদারুল আলম সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন পর্যটন কর্পোরেশনের সাবেক মহাব্যবস্থাপক শুভংকর চন্দ্র দে,বিসিক কক্সবাজারের সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আবসার উদ্দিন,অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার অধীর চন্দ্র দে, অবসরপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা অফিসার সমীর বরণ পাল,কৃষি ব্যাংক বাংলাবাজার শাখার ব্যবস্থাপক অশোক কুমার চক্রবর্তী,জেলা জর্জ কোটের এডভোকেট রতন বড়ুয়া প্রমুখ।

সঞ্চয় সপ্তাহ-২০১৮ উপলক্ষে জেলা সঞ্চয় অফিসার দিদারুল আলম জানান, সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সঞ্চয় সপ্তাহ পালন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিভিন্ন ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের কাছে সঞ্চয়ের ক্ষুদ্র বিনিয়োগ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া ইত্যাদি।

তিনি আরও জানান,জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতায় ৫ বছর মেয়াদী পরিবার সঞ্চয়পত্র যেখানে মুনাফার হার শতকরা ১১ দশমিক ৫২ ভাগ। এ সঞ্চয়পত্র ১৮ ও তদূর্দ্ধ যে কোনো বয়সের বাংলাদেশী মহিলা, শারীরিক প্রতিবন্ধী পুুরুষ ও মহিলা এবং ৬৫ ও তদূর্দ্ধ বয়সের যে কোনো বাংলাদেশী নাগরিক নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে পারবেন।

এছাড়া ৫ বছর মেয়াদী পেনশনার সঞ্চয়পত্র, যার মুনাফা শতকরা ১১ দশমিক ৭৬ ভাগ, ৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, যার মুনাফার হার ১১ দশমিক ২৮ ভাগ, ৩ বছর মেয়াদী ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, যার মুনাফার হার শতকরা ১১ দশমিক শূন্য ৪ ভাগ পাবেন। তিনি সকলকে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান।