হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী :

নানা বয়সের গ্রন্থানুরাগীদের ভিড়। কেউ কেউ হাতে করে বইয়ের তালিকা নিয়ে এসেছেন। তালিকা দেখে ব্যাগ ভর্তি বই কিনে ফিরছেন বাড়ি। মূলত ‘মেলা’ শব্দটা শুনলে যে দৃশ্যটি মনে পড়ে, ঠিক সেই রকমই পরিবেশ দেখা গেল কক্সবাজার শহরের ইনস্টিটিউট ও পাবলিক লাইব্রেরি (শহীদ দৌলত ময়দানে) মিলনায়তনে। প্রথমার বইমেলার আয়োজন চলছে সেখানে। গত ৩ এপ্রিল শুরু হয়েছে এই বই মেলা। চলবে আগামী ৮ এপ্রিল রাত আটটা পর্যন্ত।

গতকাল বিকেলে বই মেলায় দেখা গেল নানা বয়সের মানুষের দারুণ ভিড়। সারা ঘরে টেবিল পেতে বই সাজিয়ে রাখা। গ্রন্থানুরাগীরা যাচাই-বাছাই করে দেখছেন। কিনছেন পছন্দের বইটি। ২০০৯ সালে একাত্তরের চিঠি বইটি প্রকাশের মধ্য দিয়ে প্রথমা প্রকাশনের যাত্রা শুরু। এ পর্যন্ত তারা বিভিন্ন বিষয়ের ৩৫০টির অধিক বই প্রকাশ করেছে। মেলাকক্ষের ঠিক মাঝখানে লম্বা টেবিলে সাজানো হয়েছে প্রথমা প্রকাশন থেকে বাজারে আসা সেসব বই। সাথে রয়েছে বেঙ্গল প্রকাশনের বইও। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একাধিক বইসহ রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে বেশ কিছু বই, দেশের প্রথিতযশা লেখকের উপন্যাস, গল্প, কবিতার পাশাপাশি রান্না কিংবা রূপচর্চারও বইয়ের অপূর্ব সমাহার রয়েছে এখানে। মেলা উপলক্ষে নতুন বই বাজারে আসারও সুখবর দিয়েছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ।

মেলায় আসা রামু উপজেলার প্রাইমারি প্রধান শিক্ষক আজিজুল হক হেলালী বলেন, ‘প্রথমার কিছু বই কেনার পরিকল্পনা ছিল দীর্ঘদিনের। বিশেষ ছাড়ের খবর পেয়ে সুযোগটা নিতে চলে এসেছি। আমার সাধ এবং সাধ্যের অপূর্ব মিলন ঘটেছে এখানে।’ মেলার আহবায়ক ও জেলা প্রথম আলো বন্ধুসভার সভাপতি ইব্রাহিম খলিল বলেন, এবারে আইমান সাদিক, হুমায়ুন আহমেদ ও জাফর ইকবালের বই বেশি বিক্রি হচ্ছে। প্রথম আলো কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয় প্রধান সাংবাদিক আব্দুল কুদ্দুস রানা বলেন, লাভের আশায় প্রথমা এখানে বইমেলা করছে না। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী সকল শ্রেণিপেশার মানুষকে বই পড়ার প্রতি আকৃষ্ট করতেই তৃতীয় বারের মত এই মেলা।

প্রথমা প্রকাশনের উপব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জাকির হোসাইন বলেন, ‘একুশে বই মেলায় প্রকাশিত প্রথমা প্রকাশনের ৮০টি নতুন বই কক্সবাজারেও এসেছে। তাছাড়াও অন্য প্রকাশনির শতাধিক বইও বেশি ছাড়ে বিক্রি করছি আমরা।’