নুসরাত পাইরিন,কক্সবাজার :
বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমি মিলনায়তনে ৬ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৩ টায়  দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ৪৭ তম ব্যাচের উদ্বোধন সম্পন্ন হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেঃ কর্ণেল (অবঃ) ফোরকান আহম্মদ। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যের একাংশে বলেন, আমাদের এই মাতৃভূমিকে আইটি বিশ্বে আরো এগিয়ে নিতে সকলের নির্দিষ্ট ভিশন বা লক্ষ্য থাকা খুবই জরুরী। এই ভিশনকে বাস্তবায়ন করতে প্রয়োজন সঠিক প্রশিক্ষণের। আর প্রশিক্ষণের পর প্রয়োজন তার যথোপযুক্ত ব্যবহার। এভাবেই একজন মানুষ স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারেন।
প্রধান অতিথি দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের জন্য ৫টি কম্পিউটার ও ১টি ল্যাপটপ প্রদান সহ সমাজসেবার নিজস্ব জায়গা পাওয়ার জন্য সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেন। আজকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিপুল সংখ্যক প্রশিক্ষনার্থীর উপস্থিতি ও কম্পিউটার শিক্ষার প্রতি আগ্রহ দেখে ভূয়সী প্রশংসা করেন।
শহর সমাজ উন্নয়ন প্রকল্প পরিষদের সভাপতি শিক্ষাবিদ এম. এম. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজসেবা অধিদফতরের সহকারি পরিচালক মোঃ ইমরান খান, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মঞ্জুর মোর্শেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও শহর সমাজ উন্নয়ন প্রকল্প পরিষদের সদস্য এস.এম. কামাল উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন, শহর সমাজ উন্নয়ন প্রকল্প পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিঃ কানন পাল, সাহিত্য ও পাঠাগার সম্পাদক আবু জাফর সিদ্দিকী, বায়তুশ জব্বারিয়া একাডেমির প্রধান শিক্ষক ছৈয়দ করিম, কম্পিউটার প্রশিক্ষক ও সিটির কলেজের অধ্যাপক আবুল কালাম, একাডেমিক কাউন্সিলের আহবায়ক ও সিনিয়র সহকারি শিক্ষক ফরিদ আহম্মদ, প্রশিক্ষনার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন – মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান চৌধুরী, তামান্না খানম, তানবীরুল ইসলাম।
৪৭ তম ব্যাচ এপ্রিল-জুন সেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষনার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রকল্প পরিষদের সভাপতি শিক্ষাবিদ এম.এম. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আগামীতে যারা তথ্য প্রযুক্তি ও কম্পিউটার শিক্ষা থেকে পিছিয়ে থাকবে তারা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হবে। কম্পিউটার শিক্ষা ছাড়া পুঁথিগত বিদ্যা তেমন কোন কাজে আসবে না। একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি আইটি ও কম্পিউটার শিক্ষা ও ইংরেজী শিক্ষার প্রতিগুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন এবং সমাজসেবার অধীনে সহসায় স্পোকেন ইংলিশ কোর্স চালুর বিষয়ের আশ্বস্থ করেন।
সমাজসেবার সহকারি পরিচালক এমরান খান বলেন, বাংলাদেশ এখন নি¤œ আয়ের দেশ থেকে নি¤œ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। আইসিটি উপযোগী যুব সমাজই পারে এই লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার সৈনিক হতে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ কারিগরী বোর্ডে অধীনে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ইতিহাসে এবারের ৪৭ ব্যাচে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৬ শতাধিক প্রশিক্ষণার্থী ভর্তি হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তিতে উন্নয়নের ক্ষেত্রে এ এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজ করবে।
শিক্ষক ইমতিয়াজ হাসানের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প পরিষদের সদস্য আনোয়ারুল হক, প্রশিক্ষক মোঃ সাহাব উদ্দিন, মোঃ মিজানুর রহমান।