আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
কোনো চাকরিজীবী নারী গর্ভধারণ করতে চাইলে অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি মিললেই তবেই গর্ভধারণ করতে পারবেন তিনি। জাপানের বেশ কিছু অফিসে চালু রয়েছে এমনই অলিখিত নিয়ম।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে জাপানি কর্মজীবী নারীদের গর্ভধারণে এমন কড়াকড়ি নিয়ে বেশ কিছু সংবাদ প্রকাশিত হয়। জাপানি এমন নীতির কড়া সমালোচনা করেছেন দেশটির নারী অধিকার কর্মীরা।

তারা বলছেন, মাতৃত্বের ইচ্ছার ওপর কর্মক্ষেত্রের এমন নিয়ন্ত্রণ নারীদের ব্যক্তি স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপের শামিল।

সম্প্রতি টোকিওর এক চাইল্ড কেয়ারের এক নারী কর্মীর এমন নিয়মের বেড়াজালে আটকে পড়াকে কেন্দ্র করে সামনে এসেছে বিষয়টি।

ওই নারীর স্বামী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তার স্ত্রী এক চাইল্ড কেয়ারের কর্মী; গর্ভবতী হওয়ার পর কর্মক্ষেত্রে তা জানান। এরপর তার স্ত্রীর সঙ্গে ভীষণ খারাপ ব্যবহার করেন অফিস কর্তৃপক্ষ। ‘বিনা অনুমতিতে’ গর্ভধারণের জন্য ওই নারীকে কটু ভাষায় তিরস্কার করা হয় অফিস থেকে।

এমনকি তাকে কোম্পানির পরিচালকের কাছে ‘গর্ভধারণ’র জন্য দুঃখ প্রকাশ করে চিঠি লিখে ক্ষমা প্রার্থনা করতে বাধ্য করা হয়।

এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর অফিস কর্তৃপক্ষের এমন কড়াকড়ির ঘটনায় অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেন। টোকিও চাইল্ড কেয়ারের ওই নারী কর্মী জানিয়েছেন, জাপানের অনেক অফিসের মতোই তার অফিসেও অলিখিত বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে।

কোনো পদে কর্মরত নারী কর্মী ততক্ষণ পর্যন্ত বিয়ে বা গর্ভধারণ করতে পারবেন না; যতক্ষণ অন্য কোনো কর্মী তাকে ডিঙিয়ে সিনিয়র হচ্ছেন। শুধু তাই নয়, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই তাকে বিয়ে অথবা মা হতে হবে।