প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

গতকাল ৪এপ্রিল বেলা ৩টায় হোটেল কল্লোল সম্মেলন কক্ষে জেলা জাতীয় পার্টির বিশেষ বর্ধিত সভা হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছ এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বর্ধিত সভায় সাংগঠনিক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও সাংগঠনিক রিপোর্ট উপস্থাপন করেন জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুফিজুর রহমান। তিনি তার বক্তব্যের শুরুতে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। সদ্য অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া মহা সমাবেশ ও চট্টগ্রামের কর্মী সভায় কক্সবাজার জেলা জাতীয় পার্টি বণার্ঢ্য আয়োজনে অংশ গ্রহণ করার কারণে কক্সবাজা জেলা জাতীয় পার্টির ভাবমূর্তি সারা বাংলাদেশে উজ্জ্বল করায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রতি সাধুবাদ জানান। কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলার মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি পুনঃগঠনের জন্য সবার মতামত চেয়ে হাউজ উম্মুক্ত করেন। তৎপ্রেক্ষিতে বক্তব্য রাখেন টেকনাফ উপজেলা সভাপতি শফিক মিয়া, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর, উখিয়া উপজেলা সভাপতি নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টো, উখিয়া যুব সংগতির নেতা জয়নাল আবেদীন, রামু উপজেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদ মুফিদুল আলম, সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার ইসলাম, সদর উপজেলা আহবায়ক রুহুল আমিন সিকদার, পৌরসভা সদস্য সচিব নাজিম উদ্দিন, আছমাউল হুসনা, মোশারফ হোসেন দুলাল, সাজেদা হক সাজু, মহেশখালী উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম, মহেশখালী উপজেলা যুবসংগতি সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন শাখা, ওলামা পার্টির সভাপতি মৌলানা শফিউল্লাহ জিহাদী, যুব সংগতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুচ্ছফা সাগর প্রমুখ। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন খোরশেদ আরা হক এম.পি, রুহুল আমিন সিকদার প্রমুখ। হাউজ উম্মুক্ত করা হলে তৃণমূল নেতাকর্মীরা বিভিন্ন উপজেলার কমিটি পুনঃগঠনের প্রস্তাব করেন। রামু উপজেলা, টেকনাফ উপজেলা, পৌরসভা, মহেশখালী উপজেলা, কক্সবাজার শহর, কক্সবাজার সদরসহ অন্যান্য উপজেলার কমিটি পুনঃগঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভাপতি হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছ দীর্ঘ আলোচনায় কক্সবাজার জেলা কমিটির কিছু বিপদগামী সদস্য দলকে দ্বিধাবিভক্তি করার দীর্ঘ দিনের যে পায়তারা চালাচ্ছে তার বর্ধিত সভায় উপস্থাপন করলে ঐ সকল বিপদগামী সদস্যদেরকে দল থেকে বহিস্কারের জন্য সভার পক্ষ থেকে দাবী জানানো হয়। রামু উপজেলার মিঠাছড়ি ইউনিয়নের লাঙ্গল প্রতিক নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিত প্রার্থী সাবেক শিক্ষা অফিসার মাহামুদুল হককে সুস্থতা কামনা করে দোয়া ও মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ৭ই এপ্রিল চট্টগ্রামে অনুষ্টিতব্য বিভাগীয় মহাসমাবেশ সফল করার জন্য প্রত্যেকটি উপজেলা থেকে ৫টি করে গাড়ী নিয়ে চট্টগ্রাম যোগদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কুতুবদিয়া উপজেলা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা সম্পর্কে সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন দলের চেয়ারম্যান জনৈক ব্যক্তিকে লাঙ্গল প্রতীকে প্রার্থী হিসাবে সম্ভাব্য প্রাথমিক প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা দিয়ে কুতুবদিয়া ও মহেশখালীকে জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করার জন্য উপজেলা কমিটি করার ক্ষেত্রে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের পরামর্শক্রমে উপজেলায় গিয়ে কমিটির সম্মেলন করার যে পরামর্শ পত্র জনৈক ব্যক্তিকে দিয়েছিলেন তা তিনি অমান্য করে নিজে একাকী একা একটি কুতুবদিয়া কমিটি পত্রিকায় ঘোষণা দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছেন। যা কখনো কাম্য নয়। আমরা আশা করব ভবিষ্যতে এ জাতীয় আচরণ থেকে প্রত্যেককে সজাগ থাকার জন্য পক্ষান্তরে কুতুবদিয়া কমিটি, মহেশখালী কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে যথাযথ পত্রমত আলোচনা করার জন্য অনুরোধ করেন। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভাপতি তার বক্তব্যে শেষ করেন।