প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বলেছেন, ধর্মীয় ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবাইতদের গুরুত্ব রয়েছে। আর প্রশিক্ষনের মাধ্যমে পুরোহিত ও সেবাইতরা তাদের জ্ঞানের ভান্ডার আরো ব্যাপক আকারে সমাজের মধ্যে বিস্তার করতে সক্ষম হবেন।

জেলা প্রশাসক বলেন-আমাদের বর্তমানে বড় সমস্যা মাদক। আর এই মাদক থেকে সমাজকে রক্ষা করতে হলে পুরোহিত ও সেবাইতদের বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে। পাশাপাশি সমাজের বাল্য বিবাহ, ইভটিজিং প্রতিরোধ, সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে তুলতেও পুরোহিত ও সেবাইতদের বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে।

তিনি বুধবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টেও বাস্তবায়নে “ধর্মীয় ও আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণকল্পে” আয়োজিত অবহিতকরন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মাহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন-স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক হিল্লোল বিশ^াস, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আব্দুস সালাম ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি অধ্যাপক প্রিয়তোষ শর্মা চন্দন।

ধর্মীয় ও আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ কার্যক্রমের সহকারী প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা অপু চন্দ্র সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় আরো বক্তব্যে রাখেন-জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা, এডভোকেট তাপস রক্ষিত, অধ্যাপক নিরোৎপল বড়–য়া ও ধর্মীয় ও আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ কার্যক্রমের আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র পাল। সভায় প্রশিক্ষক, হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ,বিভিন্ন মঠ-মন্দিরের পুরোহিত ও সেবাইতগণ উপস্থিত ছিলেন এবং হিন্দু আইন ও পূজা পদ্ধতি, ভূমি আইন, আইসিটি, কৃষি ও বনায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষনের উপর আলোকপাত করা হয়। সভায় জানানো হয় চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলায় এ পর্যন্ত ৯৫০ জন পুরোহিত ও ২১২৫ জন সেবাইতকে এই প্রশিক্ষনের আওয়তায় আনা হয়েছে।