দেশের প্রথম মডেল মসজিদ নির্মিত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রামে। সারা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণের প্রকল্পের আওতায় সবার আগে দেশের ৯ জেলায় ৯টি মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হচ্ছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে নগরীর সিডিএ (চট্টগ্রামে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) এর কল্পলোক আবাসিক এলাকায়।

প্রায় ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সিডিএ’র জায়গায় পাঁচতলা বিশিষ্ট এই মসজিদ কমপ্লেক্সটি নির্মাণের কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

গণপূর্ত অধিদফতরের অধীনে নির্মিত হচ্ছে মসজিদটি।

মসজিদটি প্রসঙ্গে সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, আন্দরকিল্লা শাহী মসজিদ ও জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের পর চট্টগ্রামে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আর কোনো মসজিদ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিডিএ’র কল্পলোক আবাসিক এলাকায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মডেল মসজিদ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন আগামীকাল।

মসজিদ কমপ্লেক্সটিতে যা থাকছে :

ইসলামিক ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক ফাহমিদা বেগম বলেন, ‘পাঁচতলা উচ্চতার ভবনটি শুধু একটি মসজিদ নয়, মসজিদ কমপ্লেক্স। এরমধ্যে নারীদের জন্য পৃথক পৃথক অজুখানা ও নামাজের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া ইমামদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, হজ্বের মৌসুমে নগরীর ভেতরের হাজীদের থাকার ব্যবস্থা, লাইব্রেরি, গবেষণা কেন্দ্র, ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, মেহমানদের আবাসন ও বিদেশি পর্যটকদের পরিদর্শনের এবং মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা থাকবে।’

এই মসজিদের নকশা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে নকশা আহ্বান করে সেরা নকশাটি বাছাই করা হয়েছে। এই নকশার আলোকে সারাদেশের মডেল মসজিদগুলো নির্মিত হবে।

তিনি জানান, নগরীতে আরও একটি মডেল মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মিত হবে এবং সেটি অনন্যা আবাসিক এলাকায় হতে পারে। এছাড়া প্রতি উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মিত হবে। প্রায় ৪০ শতক জায়গার উপর নগরে পাঁচতলা ভবন হলেও শহরের বাইরে হবে তিনতলা ভবন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল প্রতি উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণ করা। আর সেই আলোকে মুসল্লিদের জন্য নামাজ ও ধর্মীয় শিক্ষা, সন্ত্রাস ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, সরকারের উন্নয়নের বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং ইসলামি মূল্যবোধের লালন ও পরিস্ফুটন ঘটাতে এসব মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।