বিশেষ প্রতিবেদক:
হত্যা মামলার আসামীকে আটক করে মামলার আইওকে খবর দিলো বাদি পক্ষ। কিন্তু আসামী ধরে আনতে অনিহা দেখালো মামলার আইও। ২ বিভিন্ন নাটক ও ঘন্টা অপেক্ষার পরে খোদ মামলার বাদি ও নিহতের স্বজনেরা ঐ আসামীকে ধরে থানায় নিয়ে এসে পুলিশের হাতে তুলে দিলো। ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজার সদর মডেল থানায়।
জানা গেছে, কক্সবাজারের কলাতলি মোহাম্মদিয় গেস্ট হাউসে নির্যাতন করে গাড়ি জামাল ড্রাইভার হত্যা করা হয়। বাদি পক্ষ ও নিহতের স্বজনেরা মঙ্গরবার দুপুরে মামলার অন্যতম আসামী ইউনুসকে পুলিশ লাইন এলাকায় ধরেফেলে। মামলার বাদির বড় ভাই বদি আলম ফোনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কক্সবাজার সদর থানার এসআই মনিরকে খবর দেয়। এসআই মনির আসামী ধরে আনতে অপারগতা প্রকাশ করে ফোনের লাইন কেটে দেয়। এর পরে নিহতের স্বজনেরা একাধিকবার সদর থানায় যোগাযোগ করলেও ডিউটি অফিসার তাদের এস আই মনিরের সাথে কথা বলতে বলে। ২ ঘন্টা পুলিশের নানান টালবাহানার পরে নিহতের স্বজনেরা ঐ আসামীকে থানায় নিয়ে আসে।
তবে মামলার আইও এস আই মনির ঐ আসামী প্রকৃত আসামী নয় বলে ছেড়ে দিতে বাদি পক্ষেকে হুমকি দিচ্ছে। কামাল উদ্দিন প্রকাশ জামাল ড্রাইভার হত্যারর পর থেকেই আসামীদের গ্রেফতারে এসআই মনিরের রহস্যজনক আচরন করে আসছে। তদন্তের শুরু থেকেই এমন অভিযোগ করে আসছে মামলার বাদি ও নিহত জামালের স্বজনেরা। আসামী পক্ষ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে এস আই মনির আসামীদের পক্ষে নিয়েছে বলে অভিযোগ বাদি পক্ষের। এনিয়ে এ হত্যাকান্ডের সঠিক তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
আসামী ছেড়ে দিতে বাদিকে হুমকি ও অসামী ধরতে অনিহার অভিযোগ অস্বীকার করে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা কক্সবাজার সদর থানার এসআই মনির হোসেন জানান, আমরা আসলে খুব ব্যস্ত থাকি। ব্যস্তাতার কারনেই আসামী ধরতে যেতে পারিনি। মামলার তদন্ত কাজ সঠিকভাবে চলছে। গ্রেফতার হওয়া আসামীদের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। তদন্তের আসামীর দেয়া তথ্য প্রকাশ করা যাচ্ছে। দ্রুত এই মামলার তদন্ত শেষ হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফরিদ উদ্দিন খন্দকারের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য যে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারী নিজ বাসা থেকে ডেকে নিয়ে জামালকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এরপর হত্যাকান্ডের শিকার জামালের স্ত্রী নুর নাহার বেগম বাদী হয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারী কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় চারজনকে আসামী করা হয়। মামলার প্রধান আসামী রফিকুল ইসলাম বাবুলকে পুলিশ গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তী মঙ্গলবার মামলার বাদীর ভাই নিজেই আসামীকে ধরে থানায় নিয়ে যান।