ডেস্ক নিউজ:
সরকারি কলেজের শিক্ষক সংকট নিরসনে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনে (পিএসসি) বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার প্রয়োজন হচ্ছে না। আগামী মাসেই (মে) ৩৭তম বিসিএস থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে শিক্ষক। এর মধ্য দিয়ে পূরণ হবে প্রয়োজনীয় শিক্ষকের একটি বড় অংশ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব দেওয়া হয় মন্ত্রণালয়কে। গত ১ এপ্রিল মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় মাউশির এই প্রস্তাব বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। কারণ আগামী মাসে ৩৭তম বিসিএস থেকে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (কলেজ) ড. মোল্লা জালালউদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিশেষ বিসিএস প্রয়োজন নেই। আগামী মাসে বিসিএস থেকে আমরা নিয়োগ দিতে পারবো। এক হাজারের কিছু বেশি শিক্ষকের পদ (প্রভাষক) শূন্য রয়েছে। এগুলো পূরণ করতে বিশেষ বিসিএস লাগবে না। এছাড়া নিয়ম অনুযায়ী ১০ শতাংশ ক্যাডার পদ শূন্য রাখতে হয়। কারণ যারা প্রেষণে বা লিয়েনে আছেন তারা চাইলে যেকোনও সময় ফিরে আসতে পারেন। সেক্ষেত্রে তাদের কি পদ না দিয়ে বসিয়ে রাখবো?’
দীর্ঘদিন ধরে অনেক সরকারি কলেজে শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) প্রফেসর মোহাম্মদ শামছুল হুদা। তার ভাষ্য, ‘প্রায় ২ হাজার ৪০০ পদ শূন্য থাকায় শিক্ষা ক্যাডারে বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার আয়োজন করতে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনে চাহিদাপত্র পাঠানোর প্রস্তাব দেওয়া হয় মন্ত্রণালয়কে। তবে বৈঠকে এ বিষয় নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’
মাউশি সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে বর্তমানে কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ ও আলিয়া মাদ্রাসাসহ ৩২৯টি সরকারি কলেজ রয়েছে। এগুলোতে শিক্ষকের পদ রয়েছে মোট ১৬ হাজার ৫৫৪টি। এর মধ্যে অধ্যাপকের পদ ৫০৭টি, সহযোগী অধ্যাপক ২ হাজার ২২১, সহকারী অধ্যাপক ৪ হাজার ২৮৪ ও প্রভাষক পদ ৮ হাজার ২৬টি। এগুলোর মধ্যে শূন্য রয়েছে এক হাজারের বেশি পদ।