মো: আকতার হোছাইন কুতুবী :
বর্তমান সরকার নারী শিক্ষার উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন ধরনের কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। নারী শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন করার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। যেটা অতীতে কেউ করেনি বলে মন্তব্য করেছেন সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক।

অন্যদিকে এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, মহান সাধক কুতুব আউলিয়ার স্মৃতিবিজড়িত পুণ্যভূমি বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পশ্চাৎপদ নারী শিক্ষা বিস্তারে আলোকিত প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হবে কুতুবদিয়ার একমাত্র নারী শিক্ষার উচ্চ প্রতিষ্ঠান মহিলা ডিগ্রি কলেজ।

শনিবার দুপুরে কুতুবদিয়া মহিলা ডিগ্রি কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মঙ্গল কামনা অনুষ্ঠানে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা, জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সহ-সভাপতি, কুতুবদিয়া কলেজ, ফাজিল মাদ্রাসা ও হাইস্কুলের গভর্নিং বর্ডির সভাপতি, বর্তমান বড়ঘোপ সদর’র চেয়ারম্যান জননেতা এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত মন্তব্য করেন। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মন্ডলীর সদস্য, কক্সবাজার সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যাপক আখতারুল আলম এবং কলেজ অধ্যক্ষ এফ.এম. নুরুল আলমের পরিচালনা করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক আরো বলেন, দ্বীপের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সারাদেশে মডেল হিসেবে উপস্থাপন করতে পারবে দ্বীপবাসী।

বিশেষ অতিথি ছিলেন কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুচ্ছফা বি.কম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিদারুল ফেরদৌস, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা শফিউল আলম, জেলা পরিষদ সদস্য মাস্টার আহমদ উল্লাহ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা মেহেরুন্নেসাসহ রাজনীতিবিদ, শিক্ষক ও অভিভাবক এবং ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

কলেজ প্রতিষ্ঠাতামন্ডলীর অন্যতম সদস্য ও জমিদাতা, কক্সবাজার সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যাপক আখতারুল আলম বলেন, আমি স্বপ্ন দেখি ভাল কিছু করার, আমি স্বপ্ন দেখি পশ্চাৎপদ দ্বীপে স্কুল, কলেজ গড়ে তোলার জন্য। বর্তমান প্রজন্মরা যতবেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নাগালে পাবে ততবেশি মাদককে ঘৃণা করে শিক্ষামুখী হবে।

ছাত্রজীবন থেকে স্বপ্ন দেখেছি বলেই প্রথমে উত্তর বড়ঘোপ প্রাইমারী স্কুল প্রতিষ্ঠিত করি। যা বর্তমানে সরকারি হয়েছে। ঠিক দ্বীপের নারীদেরকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য মহিলা ডিগ্রি কলেজের স্বপ্ন দেখেছিলাম। সে স্বপ্ন আমার আজ বাস্তবায়ন হয়েছে। কিন্তু দুঃখ লাগে যখনি আমার প্রিয় শিক্ষকরা ৪/৫ মাস ধরে বেতন পান না। অথচ বিত্তবানদের অভাব নেই। মনের বড়ই অভাব। তাই চারিদিকে সমুদ্র, মধ্যখানে কুতুবদিয়া দ্বীপ। এ দ্বীপের শিক্ষাকে আলোকমহয় করার জন্য বিত্তবানদের অনুরোধ জানাচ্ছি।