মো: তারেকুর রহমান আজাদ :

টেকনাফ উপজেলার উপকূলীয় বাহারছড়া ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্র শামলাপুর গ্রামের একমাত্র খেলার মাঠে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র স্থাপনের প্রতিবাদে এক বিশাল মিছিল বের হয়।

মাঠ ফিরে পেতে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ক্রীড়াপ্রেমিক ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর শামলাপুর বাজারে এ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

শামলাপুর গ্রামের ঐতিহাসিক একমাত্র এই খেলার মাঠটি রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিতরণের জন্য দখল হয়ে যাওয়ায় এলাকার যুব ও ছাত্র সমাজ খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত। খেলার মাঠটিতে বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থা (এনজিও) তাদের সমন্বয় কেন্দ্রের নামে মাঠের মধ্যে ঘর তৈরী করে মাঠটি দখল করে আছে। গত ছয় মাস আগে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা কিছু অস্থায়ী রোহিঙ্গা সরকারীভাবে বসবাস করে আসছে, এতে স্থানীয় জনসাধারণের আপত্তি নেই কারণ বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় তারা অসহায় অবস্থায় এদেশে স্থান পেয়েছে। স্থানীয়রা আগত রোহিঙ্গাদের সাহায্য সহযোগিতা করে আসছিলেন, অস্থায়ীভাবে বসবাসকারী স্বল্প সংখ্যক রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দেওয়ার জন্য প্রায় ১০ হাজার মানুষের বিনোদন নষ্ট হচ্ছে এছাড়াও শত শত শিক্ষার্থী মাঠের অভাবে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে বিভিন্ন সমাজ বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত ও নেশাগ্রস্থ হচ্ছে বলে এলাকাবাসীর আর্তনাদ। এই ঐতিহাসিক মাঠটি যুগ যুগ ধরে খেলাধুলার বাইরেও ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

অথচ বর্তমানে বড় ধরণের কোন ওয়াজ মাহফিল, জানাযা, এমনকি বছরের ঐতিহাসিক দিন ২১ ফেব্রুয়ারী, ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বরের মতো স্মরণীয় দিনগুলো যথাযথ মর্যাদায় পালনের একমাত্র মাঠটি অস্থায়ী রোহিঙ্গাদের ত্রাণ কেন্দ্র হিসেবে অবরুদ্ধ। যেকোন সভা-সমাবেশ করার জন্য দ্বিতীয় আর কোন মাঠ নেই এই মাঠটি ছাড়া। বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা, পুরষ্কার বিতরণী ও আলোচনা সভার একমাত্র এই মাঠ রোহিঙ্গার ত্রাণ বন্টনের কাজে ব্যবহার হচ্ছে বলেও এলাকার সচেতন মহলের দাবী।

শামলাপুর গ্রামে এতো খালি জায়গা জমি পড়ে থাকতে এলাকার শিশু কিশোরদের বিনোদনের শেষ ঠিকানা খেলার মাঠটিতে অস্থায়ী রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিতরণের কেন্দ্র এতদিন কেন স্থায়ী থেকে উপকূলীয় দুই ইউনিয়ন বাহারছড়া ও জালিয়াপালং এর প্রায় ৫০ হাজার মানুষের বিনোদনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে বলে তাদের প্রশ্ন। তারা মাঠটি পুনরায় ফিরে পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও জেলা প্রশাসকের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

ঐতিহ্যবাহী মাঠ রক্ষার দাবীতে  শত শত জনসাধারণ বিক্ষোভ মিছিল করেন।

এতে সচেতন মহল ও ক্রীড়াপ্রেমীদের মধ্যে-মো: সোহেল রানা, জয়নাল আবেদীন, মো: জসিম,মো: তারেক,মিছবাউল হক রাজু, কেফায়েত উল্লাহ্, আয়ুব আলী, এসকে রাতুল, মনজুর, মনসুর, মনজুরুল ইসলাম রিফাত, আতিক উল্লাহ্, বেলাল, সেলিম, রাকিব বাবু, তৈয়ব শাকিব, এহসান,রাহমত উল্লাহ্ প্রমুখ।