সিবিএন ডেস্ক:
খুলনা সিটি করপোরেশনের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে বিএনপি-সমর্থিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৪ হাজার ৬৯৩। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আওয়ামী লীগ-সমর্থিত মিজানুর রহমান মিজা তরফদার পেয়েছেন ৩ হাজার ১৫২ ভোট।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ইউনুস আলী জানান, ভোট প্রদানের হার ছিল ৫৯ দশমিক ০৮৪ শতাংশ।

খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার মাত্র এক দিন আগে বৃহস্পতিবার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে উপনির্বাচন হয়। বিএনপি-সমর্থিত কাউন্সিলর শওকত আলমের মৃত্যু হওয়ায় এই উপনির্বাচন হয়।

খুলনা সিটি করপোরেশনের এই ৬ নম্বর ওয়ার্ডটি খালিশপুর ও দৌলতপুর থানার কিছু এলাকা নিয়ে গঠিত। এখানে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৪ হাজার ১৪৬ জন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুস আলী জানান, সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে মোট নয়টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়, চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

নির্বাচনে মোট প্রার্থী ছিলেন চারজন। এঁরা হলেন বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী নিহত কাউন্সিলরের ছেলে শেখ সামসুদ্দিন আহম্মেদ প্রিন্স, আওয়ামী লীগ সমর্থিত মিজানুর রহমান মিজা তরফদার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের তরিকুল ইসলাম কবির ও স্বতন্ত্র শেখ লুৎফর রহমান।

খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তফসিল ৩১ মার্চ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

গত ১৯ মার্চ নির্বাচন ভবনে আয়োজিত সভা শেষে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘পাঁচ সিটি করপোরেশনের মধ্যে খুলনা ও গাজীপুর সিটির ভোটের তফসিল ৩১ মার্চ ঘোষণা করা হবে। নির্ধারিত সময় রেখেই এ ভোটের তারিখ নির্ধারণ করবে ইসি।’

ইসি সচিব বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ২০১৩ সালের ৬ জুলাই ও খুলনা সিটিতে ২০১৩ সালের ১৫ জুন ভোট হলেও দুই সিটির প্রথম সভা সেপ্টেম্বরে হয়েছিল। সে হিসাবে মার্চ থেকেই ভোটের দিনক্ষণ শুরু হয়েছে। এ দুই সিটির ভোটের মেয়াদ শেষ হবে ২০১৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইনানুযায়ী মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮০ দিন আগের সময়ে ভোটের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।