বার্তা পরিবশেক:

কক্সবাজারের শহরের বহুল আলোচিত জেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ শফিউল্লাহ আনসারী জড়িয়ে যে জমির পক্ষে-বিপক্ষে অভিযোগ উঠেছে সেই বিষয়টি নিয়ে শফিউল্লাহ আনসারীর মালিকের পক্ষে একটি রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। নারায়ন মল্লিকের রীট আবেদনের প্রেক্ষিতে  ২৮ মার্চ স্বরাষ্ট্রসচিব, আইজিপি, ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও অফিসার ইনচার্জ কক্সবাজার সদর মডেল থানা বিরুদ্ধে এই রুল করেন। সুপ্রিমকোটে মামলাটি পরিচালনা করেন এডভোকেট রায়হানুল মোস্তফা।

নারায়ন মল্লিকের আইনজীবি ফারুক ইকবাল জানান, কক্সবাজার বিজিবি ক্যাম্প এলাকার সারদা প্র: কৃষ্ণ মালীর নাতি গৌরাংগের পুত্র নারায়ন মল্লিকের রীট পিটিশনের প্রেক্ষিতে যাহার রীট পিটিশন ৪৩২১/২০১৮ মহামান্য সুপ্রিমকোর্ট হাইকোর্ট বিভাগের মাননীয় বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমদের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেন্ঞ্চ স্বরাষ্ট্রসচিব, আইজিপি, ডিআইজি, জেলা প্রশাসক কক্সবাজার, পুলিশ সুপার কক্সবাজার এবং অফিসার ইনচার্জ কক্সবাজার সদর মডেল থানাকে রুলনিশি জারী করেছেন।

বিগত ২০/০৩/২০১৮ ইং তারিখ কক্সবাজার সাবমেরিন ল্যান্ডিং ষ্টেশনের পেছনে ১৬ শতাংশ জমি নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এবং তার অধ:স্তন এসআই দের অব্যাহত হয়রানি, অত্যাচার, নির্যাতনের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রসচিব, আইজিপির বরাবরে দায়েরী দরখাস্ত নিস্পত্তি করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। যার মৌজা- ঝিলংজা বিএস খতিয়ান ১৮০৫ দাগ নং ৬২৩৬। বিষয়টি

জানা গেছে, জেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ শফিউল্লাহ আনসারী সারদা প্র: কৃষ্ণ মালী ওয়ারিশদের কাছ থেকে আট শতকের ওই জায়গা সম্পূর্ণ আইনীভাবে ক্রয় করেন। গত চার মাস ধরে তিনি জায়গাতে অবস্থান করে বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এরই মধ্যে বাড়ি নির্মাণ হয়ে গেছে। কিন্তু এর মধ্যে সম্প্রতি একটি পক্ষ সম্প্রতি শফিউল্লাহ আনসারী জায়গা দখল করেছে দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তাকে অত্যন্ত কুরুচীপূর্ণ ভাষায় আক্রমণ করেন। এই বিষয়ে সারদা প্র: কৃষ্ণ মালীর গং পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে তার প্রতিবাদ জানান। তবে এই কুরুচীপূর্ণ ভাষার আক্রমণ করার শফিউল্লাহ আনসারী মানহানির মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।