ফারুক আহমদ, উখিয়া:
উখিয়ায় স্বামীর ঘরে নিহত ২ সন্তানের জননী গৃহবধু তসলিমা আক্তার(২২) হত্যাকান্ডের চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে। পরকীয়া প্রেমে বাধা দিতে গিয়ে লম্পট স্বামী নুরুল আমিন ও সহযোগীরা অমানষিক নির্যাতন চালিয়ে তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে এমন অভিযোগ মেয়ের পরিবারের।

জানা যায়, উখিয়া উপজেলার রত্মা পালং ইউনিয়নের মধ্যম ভালুকিয়া সর্দার পাড়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী ছুরুত আলমের কন্যা তসলিমা আক্তারের সাথে বিগত ৮ বছর পূর্বে রাজা পালং ইউনিয়নের উত্তর টাইপালং গ্রামের নুর মোহাম্মদের পুত্র নুরুল আমিনের মধ্যে সামাজিক ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হয়।

তাদের সংসার জীবনে আবির নামের ৬ বছরের ছেলে ও রুশমীন নামের ১বছর ৯ মাস বয়সী মেয়ে রয়েছে।

এদিকে গত ১৪ মার্চ রাতে গৃহবধু তসলিমা আক্তার স্বামীর ঘরে রহস্য জনক ভবে নিহত হয়। শ্বশুর বাড়ীর লোকজন গলায় ফাঁস লাগিয়ে তিনি আর্র্তহত্যা করছে মর্মে অপপ্রচার চালিয়ে উখিয়া হাসপাতালে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে ১৫ মার্চ সকালে উখিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্বার পূর্বক সুরতাহাল রির্পোট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।

নিহতের পিতা প্রবাসী ছুরুত আলম অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে তসলিমাকে স্বামী নুরুল আমিন ও সহযোগীরা প্রচন্ড মারধর ও নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে। শুধু তাই নয় ঘটনা ধামা চাপা দেওয়ার জন্য মৃত অবস্থায় হাসপাতালে রেখে সবাই পালিয়ে যায়।

গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, স্বামী নুরুল আমিন র্দীঘদিন ধরে সর্ম্পকের তলত বোন খুশব নামক এক যুবতীর সাথে পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়ে। মেয়েটি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা বলে জানা গেছ। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদসহ মনোমালন্য চলে আসছিল। পরকীয়া প্রেমে প্রতিবাদ করায় একাধিক বার নির্যাতনের শিকার হয় স্ত্রী তসলিমা।

মা হালিমা বেগম জানান, ঘটনার দিন স্বামী-স্ত্রী দু’জনই পাশ্ববর্তী এক আত্মীয়ের বাড়ীতে বিয়ের অনুষ্টানে যায়। কিছুক্ষন পর স্বামীকে না দেখে স্ত্রী বাড়ীতে চলে আসে।বাড়ীতে দেখতে পায় স্বামী অপর এক মেয়ে খশবের সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত।পরকীয়া প্রেমের এ দৃশ্য দেখার পর প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমার মেয়েকে লাথি ও খিল ঘুষিসহ নির্মম নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে।

উখিয়া থানার পুলিশ জনান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন পূর্বক রহস্য জনক মৃত্যুর আসল ঘটনা উদঘাটনের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে ময়না তদন্তের রির্পোট আসলে গৃহবধু তসলিমা হত্যা করছে নাকি তিনি আর্তহত্যা করেছে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ব্যয়পারে থানায় অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়েছে।