সিবিএন:

সীতাকুণ্ড কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও কক্সবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব আল্লামা মাহমুদুল হক বায়তুশ শরফ আনজুমানে ইত্তেহাদ বাংলাদেশ ও কক্সবাজার ব্লাড ডোনেটিং ক্লাব থেকে গুনীজন সম্মাননা ও স্বর্ণপদক পাওয়ায় ” আবু বকর চেয়ারম্যান স্মৃতি সংসদ ” কর্তৃক গত ২৩ মার্চ শহরের রুমালিয়ার ছরা ঐতিহাসিক পিটি স্কুল মাঠে তাঁকে এক গণ সম্বর্ধনা প্রদান করা হয়।

মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী এডভোকেট এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশাল এই সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রখ্যাত মুফাসসিরে কোরআন ও বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ আল্লামা আব্দুল বাসেত খাঁন সিরাজী ও বিশেষ অতিথি ছিলেন আল্ জামেয়া আল্ ইসলামিয়া পটিয়া’র সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা কাজী আখতার হোসাইন, রামু রাজারকুল আজিজুল উলুম মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মোহছেন শরীফ, জেলা জজ আদালতের সিনিয়র এডভোকেট আখতার উদ্দিন হেলালী ও কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক কমিশনার আবু জাফর সিদ্দিকী। ঝাঁকজমকপূর্ণ এ সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে সম্বর্ধিত অতিথি আল্লামা মাহমুদুল হককে সম্বর্ধনা স্মারক, সম্বর্ধনা ক্রেষ্ট, হাজী রুমাল, বাংলায় অনুবাদকৃত বোখারী শরীফ, ৪ খলিফার ৪’শ উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী লেখা গ্রন্থ, পুষ্প স্তবক, পকেট বেইজ, বেইজ কার্ড, ডায়েরীসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী আবু বকর চেয়ারম্যান স্মৃতি সংসদের বিভিন্ন প্রজম্মের সদস্যরা প্রদান করেন। সম্বর্ধিত অতিথির উদ্দ্যেশে অনুষ্ঠানে বাংলায় সম্বর্ধনা স্মারক পাঠ করেন রামু ইউএনও অফিসের প্রধান সহকারী একেএম ছানাউল্লাহ, ইংরেজীতে সম্মাননা ক্রেস্ট পাঠ করেন ব্যারিস্টার এস এম আবুল আলা ছিদ্দিকী ও অতিথিকে বেইজ পরিয়ে দেন কক্সবাজার জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী মোঃ আমান উল্লাহ।

সম্বর্ধনার জবাবে আল্লামা মাহমুদুল হক বলেন, এই বিশাল গণ সম্বর্ধনা পাওয়ার যোগ্য আমি গুনাহগার নই। এ অঞ্চলের মানুষের অকৃত্রিম ভালবাসায় আমি সিক্ত, মুগ্ধ ও বিস্মিত। এ ভালবাসা ও আন্তরিকতার প্রতিদান আমি জীবনে কখনো দিতে পারবোনা। তাই মানুষের এই ভালবাসার ঋনে সারাজীবন আমি আবদ্ধ থাকতে চাই। এই গণ সম্বর্ধনা সর্বস্হরের মানুষের প্রতি আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। আজীবন যাতে দ্বীনের খেদমত, শিক্ষা অর্জন ও শিক্ষা বিস্তারে নিজেকে নিবেদিত রাখতে পারেন, সেজন্য আল্লামা মাহমুদুল হক আল্লাহর রহমত প্রার্থনা ও সবার আন্তরিক দোয়া কামনা করেন। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মুহাম্মদ সেলিম।