উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে লটারির মাধ্যমে নির্ধারণ হবে কোন সেটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে একাধিক প্রশ্নের সেট কেন্দ্রে পৌঁছাবে।

রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি পরীক্ষার নিরাপত্তা-সংক্রান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ উপস্থিত ছিলেন।

সচিব বলেন, এবার কোন সেটে পরীক্ষা হবে সেটি পরীক্ষা কেন্দ্রের সংশ্লিষ্টরাও বলতে পারবেন না। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে নির্ধারিত বোর্ড লটারি করে প্রশ্ন সেট নির্ধারণ করবে। এখন থেকে আর প্রশ্নপত্র সিলগালা করা হবে না। সিকিউরিটি কোডের মাধ্যমে ডাবল প্যাকেটের মাধ্যমে কেন্দ্রে প্রশ্ন পাঠানো হবে।

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা আগামী ২ এপ্রিল শুরু হবে। চলবে ১৩ মে পর্যন্ত। ১ এপ্রিল সরকারি ছুটি হওয়ায় একদিন পিছিয়ে পরীক্ষার রুটিন তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সচিব সোহরাব হোসাইন জানান, এসএসসির মতো এইচএসসিতেও পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলকভাবে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে পরীক্ষার্থীকে আর কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।

‘যদি বিশেষ কারণে কোনো পরীক্ষার্থীর কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেরি হয়, তবে রেজিস্ট্রি খাতায় ওই পরীক্ষার্থীর সব তথ্য সংগ্রহ করে তাকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে। একাধিক দিন এমন হলে আর তাকে ঢুকতে দেয়া হবে না। এসব তথ্য কেন্দ্র থেকে সংশ্লিষ্ট বোর্ডে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

সচিব বলেন, প্রশ্ন ফাঁস রোধে আমরা সব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এর সঙ্গে কারো জড়িতের প্রমাণ পাওয়া গেলে কোনোভাবেই তাকে রেহাই দেয়া হবে না।

উপস্থিত শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ সময় বলেন, ‘এবার একাধিক প্রশ্ন তৈরি করা হবে। তবে কত সেট তৈরি হবে তা প্রকাশ করা হবে না। নিরাপত্তা জনিত কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে’ বলেও জানান তিনি।

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে ২ এপ্রিল, তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলবে ১৩ মে পর্যন্ত। সুষ্ঠুভাবে এ পরীক্ষা সম্পন্নের লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধি, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন দুটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এসএসসির প্রায় প্রতিটি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। ফলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে। সংসদে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি ওঠে।

আগামী ২ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে এবার তাই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে সরকার।