ধর্ম ডেস্ক:
ইসলামের ফিতরাতের ওপরই মানুষ জন্ম লাভ করে। জন্ম থেকেই মানুষের অন্তর দরদ শূন্য হয় না। শিশুদের প্রতি তাকালেই প্রমাণ পাওয়া যায়। কারণ দুনিয়ার প্রতিটি শিশুই স্বভাব সুলভভাবে প্রত্যেককে অকাতরে মিষ্টি হাসি উপহার দেয়। এ থেকে প্রমাণ হয় যে আল্লাহ তাআলা মানুষের হৃদয়কে কঠিন করে সৃষ্টি করেন না।

মানুষ যেভাবে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে কঠিন ও শক্ত হতে থাকে তেমনি মানুষের অন্তরও বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে কঠিন হতে থাকে। তবে সব মানুষের অন্তর কঠিন হয় না। ইসলামের এমন কিছু আচার ও নিয়ম রয়েছে যা পালনে মানুষের অন্তর শিশুদের মত নিষ্পাপ ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের উপযোগী হয়। হাদিসে এসেছে-

হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ৪ টি জিনিস (মানুষের) দুর্ভাগ্যের অন্তর্গত-

১. আল্লাহর ভয়ে চোখ থেকে অশ্রু প্রবাহিত না হওয়া;
২. অন্তর শক্ত হয়ে যাওয়া;
৩. (অতিরিক্ত) আশা বৃদ্ধি পাওয়া এবং
৪. (দুনিয়ার সম্পদের) লোভী হয়ে যাওয়া। (মুসনাদে বাযযার)

বিশুদ্ধ ও নরম হৃদয়ের অধিকারী হতে হলে অবশ্যই মানুষকে উল্লেখিত হাদিসের বিষয়গুলো থেকে বিরত থাকা জরুরি। তবেই সম্ভব হবে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে সফলতা লাভ করা।

অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর জিকির ছাড়া বেশি কথা বলো না। বেশি (অনর্থক ও ফাহেশা) কথা মানুষের অন্তরকে শক্ত করে দেয়। আর শক্ত অন্তর বিশিষ্ট ব্যক্তি আল্লাহ তাআলা হতে বহু দূরে থাকে। (তিরমিজি)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রিয়নবির এ হাদিসগুলোর ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহর নৈকট্য লাভে তাঁকে বেশি বেশি ভয় করা, বেহুদা কথা বার্তা ত্যাগ করা, অতিরিক্ত আশা ও লোভ করা থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।