প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বিদগ্ধ ইসলামী শিক্ষাবিদ, চট্টগ্রাম ওমরগণি এম.ইএস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আ.ফ.ম খালিদ হোসেন বলেছেন, মুসলিম সন্তান-সন্ততিদের তাকওয়াবান, যোগ্যতাসম্পন্ন,আদর্শ দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ইসলামী শিক্ষাধারার অবদান ও প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। এ পবিত্র শিক্ষাব্যবস্থার ক্রমবিকাশধারা অব্যাহত থাকলে অচিরেই সমাজে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি ২২ মার্চ, বৃহস্পতিবার কক্সবাজার শহরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাকেন্দ্র শহীদ তিতুমীর ইনস্টিটিউটের শাখা প্রতিষ্ঠান হযরত ফাতিমাতুজ জুহরা আদর্শ নুরানী ও হিফজ মাদ্রাসার ১ম বার্ষিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
বিশিষ্ট লেখক,গবেষক ড. খালিদ হোসেন আরো বলেন,শিশুদের শৈশবাবস্থায় কুরঅানের তালীম দেয়ার ব্যবস্থা করলে পরিণত বয়সে পথহারা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। এ বাস্তবতা অনুধাবন করে সমাজে ইসলামী শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে শহীদ তিতুমীর ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ নুরানী ও হিফজ মাদ্রাসা চালু করে ব্যতিক্রমী ও যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। পবিত্র কুরআন চর্চায় এগিয়ে আসা এবং দ্বীনি শিক্ষাকেন্দ্রের সাথে আন্তরিকভাবে যুক্ত থাকা ইসলাম অনুরাগীদের ঈমানী দায়িত্ব।
ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী সভায় বিশেষ আলোচক ছিলেন, শাহারবিল আনওয়ারুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা শফিউল হক জিহাদী, জামিয়া এমদাদিয়া আজিজুল উলুম পোকখালীর মুহাদ্দিস ও তারাবানিয়ারছরা জামে মসজিদের খতীব মাওলানা অলি আহমদ, শহীদ তিতুমীর ইনস্টিটিউট জামে মসজিদের খতীব, বিশিষ্ট লেখক মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর, পেশ ইমাম মাওলানা নুরুল আবছার প্রমুখ।
বিভিন্ন অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন, শহীদ তিতুমীর ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাষ্টার মুহাম্মদ শফিকুল হক, লিংকরোড মাশরাফিয়া তাহফিজুল কুরআন মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা হাফেজ ছালামতুল্লাহ, হোছনিয়া হেফজখানার মাওলানা হাফেজ জালাল আহমদ। এছাড়াও বরেণ্য ওলামায়েকেরাম ও ইসলামী চিন্তাবিদগণ সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ইনস্টিটিউটের সচিব হাফেজ হেলাল উদ্দীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা আকিদায়ে খতমে নবুওয়াত, ইসলামী জীবনধারার
গুরুত্ব, ওলামায়ে দেওবন্দের সংগ্রামী অবদান ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন।
বার্ষিক এ মাহফিলে হিফজ বিভাগ ও নুরানীর কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের তিলাওয়াত, হাদীস শরীফ, কালেমা, মাসআলা পরিবেশন ও হস্তলিপি প্রদর্শনীতে অতিথিবৃন্দ সন্তোষ প্রকাশ করেন।
মহান আল্লাহর দরবারে বিশেষ মুনাজাতের মাধ্যমে সভা সমাপ্ত হয়।