যুগান্তর : খালেদা জিয়ার আইনি পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড অ্যালেক্স কারলাইল বলেছেন, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং বাংলাদেশ সরকারের একজন মন্ত্রী তাকে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জড়িয়ে যেভাবে বর্ণনা করেছেন, তা ‘অসত্য’ ও ‘মানহানিকর’।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে লর্ড কারলাইল বলেন, আমি জামায়াতের একজন আইনজীবী ও লবিস্ট হিসেবে কাজ করছি বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা অসত্য এবং মামলা হওয়ার মতো একটি বিষয়।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত না থাকলে ‘আইনি ব্যবস্থা’ নেওয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প তার থাকবে না।

কারলাইল তার বিবৃতিতে বলেন, বেগম জিয়ার আইনজীবী দলের সঙ্গে আমার যোগাযোগ পেশাগত জায়গা থেকে। আর হাউস অব লর্ডসে আমার সদস্যপদের সঙ্গে খালেদা জিয়াকে আইনি পরামর্শ দেওয়ার বিষয়টি কোনোভাবেই সাংঘর্ষিক নয়।

বিবৃতিতে ব্রিটিশ এ আইনজীবী মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ফাঁসি কার্যকর হওয়া জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর রায়ের সমালোচনার বিষয়েও একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক মান বজায় থাকছে কি না-সে বিষয়ে একজন আন্তর্জাতিক আইনজীবী হিসেবে আমি আমার মতামত সেখানে দিয়েছি।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি আছেন। তিনি হাইকোর্ট থেকে চার মাসের জামিন পেলেও সর্বোচ্চ আদালত তা স্থগিত করেন।

এরপর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত মঙ্গলবার কারলাইলকে আইনি পরামর্শক নিয়োগের ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসের সদস্য লর্ড কারলাইল কমনওয়েলথ হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভের চেয়ারম্যান। যুক্তরাজ্যের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের স্বাধীন পর্যবেক্ষক হিসেবে প্রায় এক দশক কাজ করা এই আইনজীবী ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই সিক্সের সাবেক প্রধান জন স্কারলেটের সঙ্গে মিলে এসসি স্ট্র্যাটেজি লিমিটেড নামে একটি পরামর্শ সেবা প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন, যা বছর তিনেক আগে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে আলোচনায় আসে।

আর বাংলাদেশে তিনি আলোচনায় আসেন ২০১৬ সালে যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায়ের পর বিবৃতি দিয়ে, যেখানে তিনি বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়ার সমালোচনা করেন।