নজরদারী (২)

প্রকাশ: ২২ মার্চ, ২০১৮ ০৬:২০ , আপডেট: ২২ মার্চ, ২০১৮ ০৬:২২

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


-আলমগীর মাহমুদ :
উখিয়া টেকনাফের মানুষ যখন দেড়লাখের কৌটায় তখনই এই এলাকার জমিদার কালাচান সিকদার (ভালুকিয়া পালং) অষ্টাদশ শতকের শেষদিকে আরাকান রোডটি উখিয়া টেকনাফের মানুষের দূর্ভোগের কারন ভেবে নিজ অর্থায়নে বালুখালী কাষ্টম অফিস থেকে উখিয়া কলেজ ঘেষে পুরো উখিয়া উপজেলা বিস্তৃত হয়ে রামু চৌমুহনী পর্যন্ত একটি রোড গড়েন যাহ কালাচান রোড নামে পরিচিত।জরীপে নথিভুক্ত হয়ে প্রচার আছে।

শাহসুজা আরাকানের পথে গৃহবিবাদে আরাকানে আশ্রয়ের সন্ধানে বিশাল বাহিনী সহ। তখনো তিনি রাস্তা করে করে পাথরী কিল্লার পথে। তিনি রাস্তার সাথে একটি বটবৃক্ষ রোপন করতে করতেই আরাকান অভিমুখী ছিলেন।ডুলহাজারা হয়ে গর্জনিয়ার শুকমনিয়া থেকে তিনি ওপারে যান।এই রোডটি এখনো সুজা রোড নামেই জনমুখে প্রচার আছে। জনহিতকর ভাবনায় জনসেবা আসে ভাবে নয়।এজন্য প্রয়োজন এমন রক্তওয়ালার।

উখিয়া টেকনাফের এই রোডটি… রিফুউজি আগের তিনলাখ।এখন দশলাখ। আসল জন্সং্খ্যা চার লাখ।রিফুইজি দেখভালে একলাখসহ মোট ১৮ লাখ মানুষের চলাচল রসদের ভারবাহী।
এরি মধ্যে রোয়াইঙ্গাদের দেখতে কোনঅদেশের রাষ্ট্রীয়প্রধান অথবা কোন ভি আইপি কে যখন মর্যাদা দিতে হয় তখন রাষ্ট্রীয়বাহিনীকে পুরোরোডই দিতে হয় বন্ধ করে।দৈনন্দিন রুটি রুজির মানুষ রাখতে হয় নজরদারীতে। কঠিন কঠোরতায় হয়ে পড়ে অলিখিত হরতাল.. হরতাল।যারা রাস্তায় ডিয়ুটিতে তাঁদের থাকে না হুশ তাঁ্রা যে চাকরী করে!
ক্ষনিক সময়ে মলমে মলমে ক্ষত সারানোর মতই দায়িত্ব সারাচ্ছি সবাই। নিস্তারে ভাবনায় আসছে না জনসেবা জনহিতকর ভাবনা।
অথচ বৃটিশ এই এলাকায় রিফুইজি পূর্ণবাসন করতে গিয়ে ১৭৯৯ সালে ক্যাপ্টেন হিরাম কক্সের আরাকানি রিফুউজি পূর্ণবাসনে কোম্পানির করণীয় সুপারিশ রিপোটের সুফল দুইশত বছর পরও আমরা বাস্তবায়ন করছি।স্বপ্ন দেখছি,স্বপ্ন দেখাচ্ছে।

আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ভিশন-২১ এ এশিয়ান হাইওয়ে যাহ ঘুং্ধুম হয়ে দক্ষিন এশিয়ার সং্যোগের অপেক্ষায় তাও ছিল হিরাম কক্সের সুপারিশ রিপোটের অংশ।লেফটেনেন্ট ব্রগহাম হিরাম কক্সেরও আগে কোম্পানিকে এই রোডটির প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।

রামুর দৃষ্টিনন্দন সেনানিবাস হিরাম কক্সের সেই পূর্ণবাসন সুপারিশের একটি।দূর্গম এলাকায় যদি বৃটিশেরা দুইশত বছর পরের স্বপ্নমানবের স্বপ্নপুরুষ হতে পারে রোয়াইঙ্গাদের বেলায় আমাদের কেন গাইতে হবে “হায়রে কপাল মন্দ..
চোখ থাকিতে অন্ধ!!

লেখক:- বিভাগীয় প্রধান। সমাজবিজ্ঞান বিভাগ উখিয়া কলেজ।
alamgir83cox@gmail. com
চলবে..