ওয়েবডেস্ক: ‌ফেসবুক নিয়ে ক্রমাগত বিতর্কের পর অবশেষে মুখ খুললেন ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকেরবার্গ। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারির অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নিলেন ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকেরবার্গ। ফেসবুক ভুল করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। জুকেরবার্গ বলেন, ‘‌ফেসবুক ব্যবহারকারীদের বিশ্বাসভঙ্গ করেছে আমার প্রতিষ্ঠান। এর জন্য আমি ক্ষমা চাইছি।’‌
ইতিমধ্যেই তথ্য চুরি সম্পর্কে জুকেরবার্গকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ভারত সরকার। এ দেশের সরকার জানিয়েছে, দরকারে জুকেরবার্গকে এ দেশে এসে তদন্তের মুখোমুখি হওয়ার জন্য সমন পাঠানো হবে। দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওপর আইনবহির্ভূতভাবে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করলে তা বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়েছেন তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। এরপরেই জুকেরবার্গের এই প্রতিক্রিয়া। নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে জুকেরবার্গ লিখেছেন, ‘‌কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে আমি কিছু জানাতে চাই। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে, করা হবে ভবিষ্যতেও। আমি খতিয়ে দেখছি ঠিক কী কী ঘটেছে আর ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা আর না ঘটে সে দিকেও নজর দেব আমরা। এ ধরনের তথ্য ফাঁস আটকাতে আমরা বহু বছর আগেই ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। কিন্তু কিছু ভুলও হয়েছিল, তথ্য ফাঁস রুখতে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’‌
ব্রিটিশ কনসাল্টিং সংস্থা কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার ফেসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সুবিধে করে দিতে ৫ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর গোপন তথ্য কারোর সম্মতির পরোয়া না করেই তা হাতিয়ে নিয়ে ব্যবহার করেছে তারা। এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। তাঁর নির্বাচনী সংক্রান্ত প্রচারেও এই তথ্যের ব্যবহার হয়েছে। মার্ক জুকেরবার্গ আশ্বাস দিয়েছেন, ফেসবুকের সঙ্গে যুক্ত যত অ্যাপস, যাঁরা ব্যবহারকারীদের তথ্য জোগাড়ের কাজ করে, তাঁেদর সবকিছু খতিয়ে দেখা হবে। দেখা হবে কোনও সন্দেহজনক কাজকর্মের সঙ্গে তাঁরা যুক্ত কিনা, এ জন্য হবে অডিটও। কারও কাজকর্মে আপত্তিকর কিছু পাওয়া গেলে তাকে নিষিদ্ধ করা হবে, প্রকাশ্যে আনা হবে নামধাম। সম্প্রতি ফেসবুকের গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যাচ্ছে বলে ফেসবুক ‘‌গুপ্তচর’‌ নিয়োগ করেছে। যার দায়িত্বে রয়েছে আমেরিকার ভারতীয় বংশোদ্ভুত সোনিয়া আহুজা।