মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি(বান্দরবান) :
রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের বৃহত্তর গর্জনিয়া বাজার ইজারার মূল্য বৃদ্ধিতে ব্যবসায়ী ও কৃষকসহ সকল মহলে হতাশ। জানা যায় বিগত সনে ভ্যাটসহ ৩৬ লাখ টাকা মূল্যের বাজার এবছর এক লাফে ৯১ লাখ ৫০ হাজার। এ বিষয়টি নিয়ে উপজেলার গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষের মাঝে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। গর্জনিয়া হাট-বাজারের ইজারা মূল্য এবার সাড়ে ৯১ লাখ টাকায় উঠেছে। গত বছর এ হাটের ইজারা মূল্য ছিল মাত্র ৩৬ লাখ টাকা। জানা যায়, ১৪২৫ বঙ্গাব্দের (১ বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত) জন্য গর্জনিয়া হাট-বাজার নিলাম আহ্বান করা হয়। সেই অনুযায়ী গর্জনিয়া হাট-বাজারের জন্য ২০টি দরপত্র দাখিল করা হয়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা ফাক্রিকাটা গ্রামের এম.সেলিম (প্রকাশ সেলিম উল্লাহ)।
সে ৯১ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্য নির্ধারণ করে বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) নিলামে অংশগ্রহণ করেন। গত বছর এ হাট-বাজারের ইজারাদার ছিলেন কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন সিকদার সোহেল। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, এ বছর নাইক্ষ্যংছড়ি ও কচ্ছপিয়ার প্রভাবশালী একটি চক্র কৌশলে সোহেল সিকদারকে তাড়াতে প্রতিযোগিতার বান করে এত দাম দিয়ে নিয়েছে এ বাজার। এম সেলিম থেকে এত দাম দিয়ে কেন বাজার নেওয়া হল জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, সোহেল সিকদার পর পর কয়েক বছর বাজার ডাক পায়। আর আমি প্রতি বছর বজার ডাকতে গিয়ে ফিরে আসি। তাই এবছর প্রস্তুতি নিয়ে গিয়েছিলাম যত টাকা লাগে বাজার আমি নেব। সোহেল সিকদার থেকে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,বাজার ডেকে তেমন লাভ নেই। কারণ এলাকার সাধারণ মানুষ এ বাজারে কেনাকাটা করে তাদের শোষণ করা যাবেনা তাই এত দামে ডেকে লাভকি।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.শাজাহান আলি বলেন, এ ব্যাপারে আইন অনুযায়ী দুই-চার দিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। কচ্ছপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু মোঃ ইসমাঈল নোমান বলেন,কপাল পুড়া গেল আমার কারণ এত টাকা দামে বাজার ডাক আর কখনো হয়নি। মানুষের কাছ থেকে টেক্স বেশি নেওয়া হলে বদনাম হবে আমার কিন্তু করার কিছু নাই। ব্যবসায়ী রিয়াজুল আলম বলেন বাজার ডাক মূল্য বেশি হওয়ায় টেক্সের জন্য বাজারে মারা মারি হবে এ বছর। আর এক ব্যবসায়ী আবু তাহের বলেন, সরকারি নিয়মে টেক্সের তালিকা বাজারে দিতে হবে না হয় কথা কাটা কাটি মারা মারি হবে প্রায় সময়।