নিজস্ব প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের উখিয়ার তেলখোলা এলাকার চাকমা পল্লীতে হামলার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ছয়শত জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে।

রোহিঙ্গারা চাকমা পল্লীর আশপাশের পাহাড়ি এলাকায় জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়ে এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।

রোববার রাতে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের তেলখোলা এলাকার চাকমা পল্লীর ‘হেডম্যান’ বাউনু চাকমা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন বলে জানান উখিয়া থানার ওসি মো. আবুল খায়ের।

তিনি জানান, হামলায় আহত দুজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তারা হলেন উমংচা চাকমার ছেলে সুখীনু চাকমা (৩২) এবং রবিচান চাকমার ছেলে ক্যাচিং চাকমা (৫৫)।

রোববার দুপুরে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ কে এম ইকবাল হোসেনসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্তাব্যক্তিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

শনিবার সকালে ওই চাকমা পল্লীতে হামলা হয়েছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে ওসি খায়ের বলেন, “১৫/২০ জন রোহিঙ্গা চাকমা পল্লীর আশপাশের গভীর পাহাড়ে লাকড়ি সংগ্রহ করতে যায়। এসময় তারা চাকমা সম্প্রদায়ের লোকজনের পানের বরজের সবকটি খুঁটি উপড়ে ফেলে নিয়ে যায়। এছাড়া রোহিঙ্গারা চাকমা সম্প্রদায়ের লোকজনের কলাবাগান, আদা, হলুদ ও মরিচ সহ অন্যান্য সবজী ক্ষেতেও লুটপাট সংঘটিত করে।

“রোহিঙ্গাদের লুটপাটে চাকমা সম্প্রদায়ের লোকজন বাধা দিলে কথাকাটিসহ ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এসময় চাকমাদের প্রতিরোধে রোহিঙ্গারা সেখান থেকে চলে যায়। পরে এসব রোহিঙ্গা বালুখালী ক্যাম্পে ফিরে আরও ক্যাম্পবাসীকে সংগঠিত করে। তারা চাকমা পল্লীতে এসে হামলা চালায়।”

পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলেও হামলাকারীরা সটকে পড়ায় কাউকে আটক করতে পারেনি।

আহত ক্যাচিং চাকমা বলেন, “অন্তত হাজারখানেক রোহিঙ্গা দা, খুন্তি ও লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র-সশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এ হামলা চালায়।”

মামলার বাদী বাউনু চাকমা বলেন, এই ঘটনার পর থেকে চাকমা সম্প্রদায়ের সবাই আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে।

ওসি খায়ের বলেন, এ ঘটনার পর থেকে চাকমা পল্লীর নিরাপত্তায় নজরদারীর পাশাপাশি পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে।