সাইফুল ইসলাম:

সুস্বাদু ফলে ভরপুর কক্সবাজারে। এরপরে দামও চড়া বাজারে। গ্রীষ্মকালীন রসালো ফল সেজে উঠেছে শহরের হাটবাজারগুলো। সূর্যের উত্তাপ, ভ্যাপসা গরম আর তৃষ্ণার্ত ঠোঁটের এমন দুর্বিসহ জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি এনে দেয় গ্রীষ্মকালীন রসালো ফলে। তরমুজ, বাঙ্গি ও আনারস, ছাড়াও বাজারে মিলছে হরেক রকমের ফল। তবে দাম ও মান নিয়ে অসন্তোষ ক্রেতাদের। এদিকে বিক্রতাদের দাবি বাজারে মৌসুমী ফল আসলেও মানুষ আগের মতো খেতখামার না করায় বাজারে নতুন ফল দেখা গেলে দাম চড়া রয়েছে। ক্রেতাদের অভিযোগ অতিমাত্রার দামের কারণে বেশিরভাগের নাগালের বাইরে চলে গেছে রসালো সব ফল। তবে এসব ফল-ফলাদির দোকান সড়কে পাশে যত্রতত্র ফুটপাতে ব্যবসা করে যাচ্ছে অভিযোগ সচেতন মহলের। এদিকে শহরের বাজার কেন্দ্রীক ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মূল বাজারের তুলনায় ফুটপাতে এসব রসালো ফলের সমাহার বেশি। আমরা লাখ লাখ টাকা সেলামী দিয়ে দোকান করে আসছি বাজারে অথচ আমাদের তুলনায় তাদের বিক্রি বেশি। তাই ফুটপাতের চেয়ে মূলবাজারে একটু দাম বাড়া।

সাধারণত পাইকারি ক্রেতারা ফল ক্রয় করে এনে কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ দিয়ে থাকেন। কয়েকজন বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তরমুজ আকারভেদে সর্বনি¤œ ২৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ৫’শ টাকা, বাঙ্গি ১০০টাকা থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে বাজারে।

বাজারে তরমুজ কিনতে আসা আমানত উলাহ জানান, হঠাৎ করে তীব্র গরমে ছোট ছেলেমেয়েসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রসালো ফলের স্বাদ নিতে তরমুজ, বাঙ্গি কিনতে এসেছি। কিন্তু ছোট ছোট তরমুজ আর বাঙ্গির অত্যধিক দাম চাওয়া হচ্ছে।

দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়া এলাকার মো. জসিম নামে এক রিক্সাচালক বলেন, আমার স্ত্রী ও সন্তানেরা মৌসুমী ফল তরমুজ খাওয়ার জন্য প্রতিদিন আমার সাথে ঝগড়া করে। মৌসুমী ফল বাজারে থাকলেও দাম বেশি হওয়ায় ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। একদিকে বাজারে চালসহ নিত্যপণ্যের দাম বেশি অন্যেদিকে মৌসুমী ফলের দামও চড়া। বাজারে গত বছরের চেয়ে দ্বিগুন বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন মৌসুমী ফল।

পৌরসভার পেছনে ফুটপাতে রসালো ফল বিক্রেতা মো. কাজল বলেন, এ বছর বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে প্রায় খেতখামার নস্ট হয়ে গেছে। এ জন্য আগের মতো রসালো ফল মিলছেনা বাজারে। পূর্বে মানুষ খেতখামারের প্রতি বেশি আগ্রহ ছিলো। বতর্মানে উৎপাদনের চেয়ে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সুস্বাদু ফল গত বছরের তুলনায় দাম একটু বৃদ্ধি।