প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

রামুর গর্জনিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এএইচএম মনিরুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বিদ্যালয়ের ২০১১ এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১৬মার্চ) ওই ব্যাচের ছাত্র হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে ব্যাচের পক্ষে আরও শোক প্রকাশ করেন- ফারজানা ইসলাম সুইটি, নাসরিন জাহান, তামিমা সুলতানা সুমি, ফরিজা বেগম, আবদুল মান্নান, কামরুজ্জামান রাসেল, আবদুল্লাহ আল নোমান, মিজানুর রহমান, অপূর্ব চৌধুরী, মনোয়ারা বেগম, রাশেল শর্মা প্রমূখ।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘জনাব এএইচএম মনিরুল ইসলাম স্যার ছিলেন বাবার মত। তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সহিত বিদ্যালয় পরিচালনা করতেন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে খোঁজখবর রাখতেন। বিদ্যালয়ে প্রিয় এই প্রধান শিক্ষকের শূণ্যতা কখনো পূরণ হবার নয়। তাঁর মৃত্যুতে বিদ্যালয়ের ২০১১ এসএসসি ব্যাচের ছাত্র-ছাত্রীরা গভীর শোকাহত। মরহুমের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়।’

উল্লেখ্য-গত ১৩ মার্চ বিকেল ৩টায় কক্সবাজার ডিজিটাল হসপিটালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গর্জনিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এএইচএম মনিরুল ইসলাম পরপারে পাড়ি জমান। তাঁর স্ত্রী নাসরিন আক্তার নাইক্ষ্যংছড়ি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা। তাঁদের সাংসারিক জীবনে এক ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। ১৩ মার্চ সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় নাইক্ষ্যংছড়ি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে প্রয়াত প্রধান শিক্ষকের প্রথম জানাজা নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা মোহাম্মদ ওসমান। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় দ্বিতীয় জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয় গর্জনিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে। নামাজে ইমামতি করেন বিদ্যালয়ের হেড মাওলানা আবু মুছা কুতুবি। পর দিন ১৪ মার্চ চকরিয়ার নিজ গ্রামের বাড়িতে তৃতীয় জানাজা নামাজ শেষে মরদেহ দাফন করা হয়।