সংবাদদাতা :

বরিশাল মহানগর ডিবি পুলিশ কর্তৃক বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসি নিউজ-এর ক্যামেরাপারসন সুমন হাসানের উপর অমানবিক নির্যাতনের প্রতিবাদে কক্সবাজারের মহেশখালীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। মহেশখালী প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে শুক্রবার বেলা ৩ টায় মহেশখালী প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচী পালন করা হয়। ঘন্টাব্যাপী চলা মানববন্ধন ও পরে প্রতিবাদ সমাবেশে উপজেলার প্রিন্ট, ইলেকট্রিক ও অনলাইন গণমাধ্যমের সাংবাদিকসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

এ সময় বক্তারা দ্রুত ক্যামেরাপারসন সুমন হাসানের উপর নির্যাতনকারী ৮ পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

মহেশখালী প্রেস ক্লাব সভাপতি ও বাংলাটিভি প্রতিনিধি মাহবুব রোকনের সভাপতিত্বে, মহেশখালী প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলার এম. ছালামত উল্লাহর সঞ্চালনায় মানববন্ধন উত্তর সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মহেশখালী প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি হারুনর রশিদ, মহেশখালী প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ইত্তেফাক প্রতিনিধি আবুল বশর পারভেজ, বাংলাদেশ বেতার প্রতিনিধি আমিনুল হক, মহেশখালী প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি সৈয়দ মুজতবা আলী, মহেশখালী প্রেস ক্লাবের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম. রমজান আলী, বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক ভোরের কাগজ প্রতিনিধি এম. বশির উল্লাহ, প্রবীণ সাংবাদিক সিরাজুল হক সিরাজ, সহ-সাঃ সম্পাদক মৌঃ রুহুল কাদের, অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ তারেক, দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রশিদ, সদস্য দৈনিক ভোরের ডাক প্রতিনিধি নুরুল কাদের, আবু তাদের গাজী, এম. মকছুদুর রহমান, মাস্টার সরওয়ার কামালসহ অনেকেই। দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক দাবী জানিয়ে সমাবেশ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয় দেশের সাংবাদিক সমাজের সম্মিলিত এই দাবী অগ্রাহ্য করা হলে প্রয়োজনে ধারাবাহিক আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। সাগর-রুনি হত্যাসহ সকল হত্যাকাণ্ড ও সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করা হয়।

৩ মার্চ দুপুরে নিকট আত্মীয়কে গোয়েন্দা পুলিশ কর্তৃক আটকের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ডিবিসি’র বরিশাল অফিসের ক্যামেরাপারসন সুমন হাসান। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে প্রকাশ্যে তার পড়নে থাকা টি-শার্ট টেনে হিঁচড়ে পেটাতে পেটাতে তাকে গোয়েন্দা পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়। পথিমধ্যে তার অণ্ডকোষ চেপে ধরাসহ তাকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ সাংবাদিক সুমনের।

এদিকে এ ঘটনায় নগর গোয়েন্দা পুলিশের ওই দলে থাকা এসআই আবুল বাশারসহ ৮ সদস্যকে মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে প্রত্যাহারসহ তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।