সিবিএন ডেস্ক :   রামু উপজেলার জনগণের সাথে কউকের মাস্টার প্ল্যান ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা- ১৯৯৬ বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা  ১২ মার্চ সকাল ১১টায় রামু উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: শাজাহান আলী এবং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে: কর্ণেল (অব:) ফোরকান আহমদ।

শুরুতে অনুষ্ঠানের সভাপতি মো: শাজাহান আলী সাধারণ জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এ অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য প্রধান অতিথি লে: কর্ণেল (অব:) ফোরকান আহমদ এবং কউকের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন কউকের এ উদ্যোগ নি:সন্দেহে কক্সবাজার তথা এতদ্্ঞ্চলকে একটি আধুনিক ও পরিকল্পিত নগরী বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অনিয়ন্ত্রিতভাবে গড়ে উঠা শহরকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণে কউকের সকল কাজে সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন এতদিন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ না থাকায় জনগণ যেনতেনভাবে ইমারত নির্মাণ করে আসছে। ফলে যথাযথভাবে আইনের প্রতিফলন ঘটানো সম্ভব হয়নি। বর্তমানে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তাদের কার্যক্রম জোরালোভাবে শুরু করেছে বিধায় ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক হবে বলে তিনি দৃঢ়তা জ্ঞাপন করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি লে: কর্ণেল (অব:) ফোরকান আহমদ বলেন, একটি সুন্দর ও পরিকল্পিত নগরী বাস্তবায়নের জন্য সকলের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা খুবই জরুরী। ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ও মাস্টার প্ল্যান বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশবাসীকে একটি সুন্দর ও পরিকল্পিত নগরী উপহার দেয়া সম্ভব বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া তিনি আরো বলেন, প্রতিটি এলাকার জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনসহ সকলের মতামতের ভিত্তিতে খুব শীঘ্রই কক্সবাজারের মাস্টার প্ল্যান নবায়নের কাজ শুরু করা হবে। পরিকল্পিত নগরায়ন এবং সাধারণ জনগণের সুবিধার কথা চিন্তা করে সকলের সমন্বয়ের মাধ্যমে উক্ত কাজে সফলতা আসবে বলে তিনি দৃঢ়তা ব্যক্ত করেন। তাই এক্ষেত্রে সকলের সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গৃহীত প্রকল্প সমূহ বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল) লে: কর্ণেল মোহাম্মদ আনোয়ার উল ইসলাম, এবং মাস্টার প্ল্যান ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা- ১৯৯৬ অনুসরণ করে ইমারত নির্মাণ বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী ফজলুল করিম।

অনুষ্ঠানের সমাপনি পর্যায়ে প্রশ্নোত্তর পর্বে খুনিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদ, রামু উপজেলাকে প্রাধান্য দিয়ে কউকের কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য এবং প্রধান অতিথি হিসেবে কউকের চেয়ারম্যান উপস্থিত থাকার জন্য সম্ভাষণ জানান এবং প্রধান অতিথি বরাবরে রামু উপজেলার উন্নয়নে কিছু প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে হিমছড়িতে সী-বীচের সংযোগ সড়ক, হিমছড়িতে ক্যাবল কার স্থাপনের মাধ্যমে পর্যটন সেবা বাড়ানো, মেরিন এ্যাকুরিয়াম স্থাপন করা সর্বোপরি মাস্টার প্ল্যানের ভিত্তিতে ধারাবাহিক উন্নয়ন করার উপস্থাপনা করলে সভাপতি জানান কউক ইতোমধ্যে বেশ কিছু প্রকল্প গ্রহণ করেছে এবং কিছু প্রকল্প চূড়ান্ত অনুমোদনের পর্যায়ে রযেছে। এছাড়া প্রস্তাবিত প্রকল্পসমূহ কউক কর্তৃক পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়িত হবে বলেন তিনি জানান।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড অফিসার সাইফুদ্দিন খালেদ, রামু উপজেলায় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম শুরু করার আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি রামু উপজেলায় প্ল্যান অনুমোদনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে অনুষ্ঠানের সভাপতি এবং কউক চেয়ারম্যান এ ব্যাপারে বিস্তারিত প্রক্রিয়া তুলে ধরেন।

প্রাণবন্ত উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব শেখ মো: ছাদেক, ছাই থোয়াইলা চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রামু, ফরিদা ইয়াছমিন, ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা), রামু, বজলুল করিম, এসআই, রামু, থানা, ফরিদুল আলম, চেয়ারম্যান, ফতেখারকুল ইউনিয়ন, শাহ আলম, চেয়ারম্যান, রশিদনগর, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, চেয়ারম্যান, গর্জনিয়া ইউনিয়ন, মুফিজুর রহমান, চেয়ারম্যান, রাজারকুল ইউনিয়ন, আবদুল মাবুদ, চেয়ারম্যান, খুনিয়া পালং ইউনিয়ন, মোস্তাক আহমদ, চেয়ারম্যান, কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন, তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান, গর্জনিয়া ইউনিয়ন, মুজাহিদুল ইসলাম, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার, কাজী মো: আবু বকর ছিদ্দিক, সি: সহসভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামালীগ, রামু উপজেলাসহ রাজনৈতিক ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাগণ।