মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:
চকরিয়া উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে পড়ছে। সম্প্রতি পৌর শহর ও মহাসড়কে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক (টমটম) সংঘর্ষে একাধিক নারীপুরুষ লাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছে।
ব্যাটারি চালিত টমটম মহাসড়কে চলাচলে সরকারী নিষেধাজ্ঞা থাকলেও দখলে নিয়েছে পৌর এলাকাসহ নিকটস্থ মহাসড়ক। চকরিয়ায় গেল দু’মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় অর্ধ শতাধিক হতাহতের তত্ত্ব নিশ্চিত করেন নিসচা নামক বেসরকারি সংঘটন।
সম্প্রতি ডুলাহাজারা ডিগ্রি কলেজের সামনে মহাসড়কে টমটম-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত হয় এক মেধাবী কলেজ ছাত্র। মহাসড়কে ধীরগতি যান টমটমের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় অন্যান্য যানবাহন চলাচল মারাত্মক সমস্যা বলে জানায় চালকরা। হাইওয়ে পুলিশ এসব টমটম আটক করে মামলা ও জরিমানার টাকা আদায় করে ফের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে বলে সচেতন মহল জানায়।
এদিকে পৌর শহর থেকে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হাঁসের দিঘি পর্যন্ত রাম রাজত্ব কায়েম করছে ব্যাটারি চালিত এ টমটম। যানবাহন চালকদের দাবী এসব এলাকার মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের অভিযান কখনো দেখা যায়নি।
এ ব্যাপারে চিরিংগা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সার্জেন্ট মোঃ নুরে আলম পলাশ বলেন স্থানীয়দের সহযোগীতা না থাকায় ওদিক (ফাঁসিয়াখালী) থেকে টমটম আটক করে আনতে সমস্যায় পড়তে হয়। তবে এখন থেকে ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি জানান।
সরেজমিনে চকরিয়া থানা রাস্তার মাথা আর নিউ মার্কেটের সামনে যান ও জন চলাচল সড়ক জুড়ে রয়েছে টমটম টার্মিনাল। এসব টার্মিনাল থেকে পৌর শহরের অদূরবর্তী বিভিন্ন এলাকা ও বাজার পর্যন্ত লাইন দেওয়া হয়েছে। এতে দুর্ঘটনার পাশাপাশি টমটম জড়তায় পথযাত্রী চলাচল ও কেনাকাটায় অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে বলে জানায় ক্রেতা-বিক্রেতারা।
শহরে টমটম জড়তা থেকে পরিত্রাণের উপায় আছে কিনা জানতে চকরিয়া পৌর মেয়র আলমগির চৌধুরীর সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিং-এ আছে বলে জানান। মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক আলমগির হোসেন জানায় মহাসড়ক থেকে তিন চাকাযান ছাড় দিচ্ছি না। তারপরও অজান্তে গুটিকয়েক চলাচল অসম্ভব নয় বলে তিনি জানায়।