সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় ঘৌতায় সরকারি বাহিনীর বিমান হামলায় নতুন করে আরও কমপক্ষে ৪২ জন বেসামরিক নিহত হয়েছে। গত মাসের ১৮ তারিখ থেকে বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকায় অভিযান শুরু করে সরকারি বাহিনী। খবর আল জাজিরা।

দেশটিতে ব্রিটেন ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, প্রায় এক মাস ধরে চলা দফায় দফায় বিমান হামলায় ১ হাজারের বেশি বেসামরিক নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৪ হাজার ৩৭৮ জন। এদের মধ্যে ২২৭ জন শিশু এবং ১৪৫ জন নারী।

gouta

খবরে আরও জানানো হয়েছে, শনিবার দামেস্ক থেকে ১০ কিলোমিটার পূর্বের মেসরাবা শহর দখলের মধ্য দিয়ে দৌমা শহরকে ঘিরে ফেলেছে সরকারি বাহিনী। মুদেইরা দখলের মধ্য দিয়ে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত দৌমা ও হারাসতা শহরের মধ্যে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। জাতিসংঘের এক হিসাব অনুযায়ী পূর্বাঞ্চলীয় ঘৌতায় প্রায় ৪ লাখ বেসামরিক আটকা পড়েছে।

মানবাধিকার কর্মী নূর আদম আল জাজিরাকে বলেন, দামেস্কের পূর্বাঞ্চলীয় জোবার শহরে বিমান হামলায় ৮ জন নিহত হয়েছে। অপরদিকে দৌমায় হামলায় একই পরিবারের ১৬ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া হারাসতা, জামালকা ও আরবিন শহরে আরও বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস আল জাজিরাকে জানায়, পূর্ব ঘৌতাকে এখন তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। দৌমা এবং তার চারপাশের এলাকা, পশ্চিমাঞ্চলীয় হারাসতা ও এর দক্ষিণ দিকের বাকি এলাকাগুলোকে আলাদা করা হয়েছে।

gouta

মানবাধিকার সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া অর্থাৎ ২১ দিনে সরকারি বাহিনীর অভিযানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে এক হাজার ৯৯ জন নিহত হয়েছে।

পূর্ব ঘৌতার এক-তৃতীয়াংশের নিয়ন্ত্রণ এখন সিরীয় সেনাদের হাতে রয়েছে। বিমান হামলা শুরুর দু’সপ্তাহ আগে থেকেই ওই অঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ খাদ্য ও ওষুধ সঙ্কটে দিন কাটাচ্ছেন। দু’সপ্তাহ আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা দিয়েছিলেন সাধারণ মানুষকে পালানোর সুযোগ করে দিতে যুদ্ধে প্রতিদিন ৫ ঘণ্টা ‘মানবিক বিরতি’ থাকবে। তবে সেখান থেকে কেউ পালিয়ে যেতে পেরেছে- এমন কোনো খবর নেই।

তাছাড়া ত্রাণবাহী গাড়ি সেখানে ঢুকতে পারলেও নির্ধারিত কাজ শেষ না করেই তাদের ফিরে আসতে হচ্ছে। ফলে খাদ্য সঙ্কটে চরম দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছে লাখ লাখ মানুষ।