প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

শহরের বাহারছড়া গোল চত্বর মাঠকে নিয়ন্ত্রিত পার্কের পরিবর্তে খেলার মাঠ হিসেবে উন্মুক্ত রেখে উন্নয়নের দাবীতে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এমপি’র কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বৃহত্তর বাহারছড়াবাসী। গতকাল ১১ মার্চ (রবিবার) কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক কামাল হোসেনের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এর আগে ঐতিহ্যবাহী বাহারছড়া গোলচক্কর মাঠ রক্ষা কমিটির ব্যানারে শহরে বিশাল মিছিল ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মূখ চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করে গোলচক্কর মাঠ রক্ষার দাবীতে সোচ্চার শহরবাসী।

এদিকে স্মারকলিপি পূর্ব বিক্ষোভ সমাবেশে একাত্মতা ঘোষণা করে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান বলেছেন, ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ কোন খেলার মাঠ স্থাপনা নির্মাণ ও অধিগ্রহণ করা যাবে না। গণপূর্ত বিভাগ পার্ক করার জন্য গোলচক্কর মাঠটি যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলো এ মাঠটি জনগণের ব্যবহার উপযোগী হারাবে। মাঠটি আর মাঠ থাকবে না । কক্সবাজার শহরবাসীর একটু স্বস্তিতে-শান্তিতে মুক্ত পরিবেশে নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগ চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। বন্ধ হয়ে যাবে প্রতিদিন সকাল-বিকাল শত শত পূতঃপবিত্র শিশু কিশোর তরুণদের কোলাহল। এই সময় বক্তাগণ বলেন, বাহারছড়া গ্রামের সাথে লাগোয়া গোলচক্কর মাঠটি কক্সবাজার গণপূর্ত বিভাগের মালিকানাধীন সম্পত্তি। কিন্তু এই মাঠের এক সময় মালিক ছিলেন বাহারছড়া এলাকার কয়েকজন স্থায়ী বাসিন্দা। কক্সবাজারকে একটি স্বাস্থ্যকর নগরী হিসেবে গড়ে তোলার অভিপ্রায়ে কোন এক সময়ে সরকার গোলচক্কর মাঠের জমিটি গণপূর্তের নামে অধিগ্রহণ করে। অধিগ্রহণের পর থেকে আজ অবধি মাঠটি খোলা আছে। এ মাঠে এলাকার মৃত ব্যক্তির জানাযা, বাৎসরিক ওয়াজ মাহফিল, ঈদের বড় জামাতের আয়োজন করা হয়। এছাড়া বাহারছড়াসহ শহরের শত শত ছেলে-মেয়ে খেলাধুলার স্থান হিসেবে এ মাঠটি ব্যবহার করে থাকে। সকাল ও বিকালেএ শহরের অসংখ্য নারী পুরুষ এ মাঠে হাঁটা চলা করে।

বক্তাগণ আরো বলেন, এ মাঠটি বছরের প্রায় সময় প্রীতি ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট, ফুটবল টুর্ণামেন্ট, ব্যাডমিন্টন টুর্ণামেন্ট, ক্রিকেটলীগসহ নানা রকম খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। কক্সবাজার জেলা শহরে খোলামেলা পরিসরে একটি মুক্ত শ্বাস নেওয়ার এ মাঠটি ছাড়া দ্বিতীয়টি নেই।

বক্তাগণ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কক্সবাজার গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানতে পেরেছি, গণপূর্ত বিভাগ মাঠটির চার পার্শ্বে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে কথিত পার্ক তৈরির পরিকল্পনা করেছে। গণপূর্ত বিভাগের এ পরিকল্পনায় এলাকাবাসীর আকাংখা ও ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেনি। আমরা মনে করি, গণপূর্ত বিভাগের গ্রহণ করা পরিকল্পনা গণ আকাংখার পরিপন্থী এবং হঠকারী সিদ্ধান্ত। মাঠটির মালিকানা গণপূর্ত বিভাগ হলেও জনস্বার্থে কোন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মতামত নেওয়া উচিত ছিলো গণপূর্ত বিভাগের। কিন্তু তা অনুসরণ করা হয়নি। বক্তাগণ দাবী জানান গোল চক্কর মাঠটি চারপাশে সীমানা পিলার স্থাপন করে ২ ফুট দেয়াল, উপরে লোহার গ্রীল দিয়ে মাঠটি রক্ষণাবেক্ষণ করে খেলার মাঠ হিসাবে রেখে সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত রাখা হোক।

এদিকে বাহারছড়া সমাজ কমিটির সভাপতি সামশুল হুদার সভাপতিত্বে স্মারকলিপি প্রদান পূর্ব বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) নাসিমা আকতার বকুল, কক্সবাজার পৌরসভার কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম, মহিলা কাউন্সিলর কহিনুর ইসলাম, সমাজ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম, বাহারছড়া মসজিদ কমিটির সভাপতি কামরুল ইসলাম কাজল, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, সহ-সভাপতি সামশুল আলম, জেলা জাতীয় পার্টি নেতা এড. তারেক, মফিজুর রহমান, কামাল উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন, জেলা জাসদ নেতা মোহাম্মদ হোসাইন মাসু, নব-জাগরণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাফর আলম, সমাজ নেতা- এড. কাইয়ুম, শাহাজাহান বাপ্পী, ডি.এস এ সদস্য প্রভাষক জসিম উদ্দিন, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার খালেদা ইয়াছমিন, জেলা ক্রিকেট খেলোয়াড় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হোসাইন মাসুম, যুব নেতা নুর বখ্ত কাজল, আবছার উদ্দিন, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল মজিদ সুমন, নজরুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা আজহার উদ্দিন রুহুল,