শামসুল হক শারেক
গত ৩ মার্চ পারিবারিক ট্যুরে বান্দরবান যাওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। তবে বান্দরবান ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের পরিচালক হুসাইন মুহাম্মদ ইউনুছ ( মরহুম হাজী ইউনুছ সাহেব হুজুরের সন্তান) এর অনুরোধে কয়েক আপনজনসহ গিয়েছিলাম বান্দরবান ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের মাহফিলে।
আমারা বান্দরবান গেছি খবর জেনে আমাদেরকে আমন্ত্রণ জানান, উপজাতীয় রাজপুত্র জননেতা সাচিং প্রু জেরি। অত্যন্ত সম্মান ও আদর যত্ম সহকারে তাঁর বাসায় আমাদেরকে মেহমাদারী করলেন তিনি। উপজাতীয় জনগণের কাছে এই রাজ পরিবারের এখনো অনেক সম্মান ও মর্যাদা।
তিনি জানালেন, বান্দরবানে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। সেখানে চমৎকার সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতি বিদ্ধমান।
আলাপ চারিতায় দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে শীর্ষ সংবাদ পত্র দৈনিক ইনকিলাবের ভূমিকার প্রসংশা করলেন জেরি বাবু।
তাঁর সাথে একান্ত আলাপ চারিতায় জানলাম, রাজ পরিবারের ইতিহাস । তাঁর বাবা অংশই প্রু চৌধূরী ছিলেন ১৫ তম রাজা। তাঁর নানা মং শই প্রু চৌধূরী ছিলেন ১৪ তম রাজা। ১৬ তম রাজা কে এস প্রু চৌধূরী তাঁর মামা। আর বর্তমান ১৭ তম রাজা ইউ চ প্রু চৌধূরী হলেন তাঁর চাচা।
আরো জানলাম, রাজ পরিবারে জেষ্টতার দিক থেকে ( রাজা হওয়ার ক্ষেত্রে) তিনি ৫ম।
তাঁর বাবা অংশই প্রু চৌধূরী ছিলেন এক সময় মন্ত্রী। তিনি ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রী সভার প্রভাবশালী সদস্য।
জেরি বাবু এক সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ মন্ত্রীর পদ মর্যাদায় বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। একই এলাকার তিনি এমপি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান ও ছিলেন। বর্তমানে তিনি দেশের বড় একটি রাজনৈতিক দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।
জানলাম তিনি স্থানীভাবে বিভিন্ন সমাজ সেবা কাজের সাথে সম্পৃক্ত। সত্যিই সদালাপী সমাজ সেবী এক রাজ পুত্র জেরি বাবু।
৩ মার্চ আমার জীবনের একটি বিশেষ দিন। এখন থেকে আড়াই যুগ আগে বিশেষ একটি কারণে দিনটি আমার কাছে স্মরণীয়। বান্দরবানের এই সফরটি পারিবারিক না হলেও ছিল সত্যিই আনন্দময়।
সেখানে আরো দেখা হয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতীব আমার পরম শ্রদ্ধেয় মাওলানা আলা উদ্দীন ইমামীর সাথে। তাঁর সাথে আমার পরিচয় প্রায় ৩৮ বছর আগের। তিনি অত্যন্ত উচুঁমানের একজন আলেমে দ্বীন।
আমার সাথে ছিলেন কক্সবাজার শহীদ তিতুমীর ইনষ্টিটিউটের পরিচালক মাষ্টার শফিকুল হক, সাংবাদিক আলহাজ্ব নূরুল ইসলাম হেলালী ও সাংবাদিক ছৈয়দ আলম।
সন্ধ্যায় তমরা স্থানীয় সাংবাদিক জয়নাল আবেদীন ও মু: ইসহাকসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে কর্মরত সংবাদ কর্মীদের নিয়ে শিক্ষা কেন্দ্রের মাহফিলে যোগদিয়ে তাদের আন্তরিকতাপূর্ণ আতিথেয়তা গ্রহণ করি।