প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

ঐতিহাসিক ৭মার্চ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কক্সবাজার জেলা শাখার উদ্যেগে এক বিশাল গণ সমাবেশ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড: সিরাজুল মোস্তফার সভাপতিত্বে গতকাল বিকাল ৪ঘটিকায় শহীদ দৌলত ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা বলেন, পাকিস্তানীদের ২৩ বছরের ইতিহাস ছিল বাঙ্গালীদের উপর অত্যচার, নির্যাতন, শোষন ও বঞ্চনার ইতিহাস ১৯৪৮ সালের ১৪ইং আগষ্ট পাকিস্তান বৃটিশ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর প্রথমে বাংলাকে বাদ দিয়ে উর্দুকে রাষ্ট্র ভাষা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এর প্রেক্ষিতে পূর্ব পাকিস্তানে বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা করার দাবীতে গণ আন্দোলন শুরু হয়।১৯৫২এর ২১শে ফেব্রুয়ারী বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা করার দাবীতে আন্দোলন করতে গিয়ে পাকিস্তানের শাসকদের প্রত্যক্ষ মদদে রফিক, সালাম, বরকতসহ অসংখ্য ছাত্র জনতাকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করে। ৫২ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতা লাভ করলেও পাকিস্তান স্বৈরশাসকরা যুক্তফ্রন্ট সরকারকে বেশিদিন ঠিকতে দেয়নি। ৬২ সালে শিক্ষা আন্দোলনে অসংখ্য ছাত্র জনতাকে হত্যা করা হয়। যার প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানিদের চক্রান্ত বুঝতে পেরে ৬৬ সালে ঐতিহাসিক ৬দফা ঘোষনা করে। ৬ দফায় পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের সমস্ত অধিকার ও ন্যায্য দাবীর কথা সু-ষ্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ ছিল। পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুর ৬দফা কে উপেক্ষা করে বাঙ্গালী জাতির উপর অত্যাচার, নির্যাতন ও শোষনের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়। বঙ্গবন্ধুসহ সমস্ত আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে। বঙ্গবন্ধুকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়, যার কারণে পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ৬৯ সালে গণ আন্দোলনের সৃষ্টি হয়। ৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সংখ্যাঘনিষ্ট লাভ করলেও পাকিস্তানিরা ক্ষমতা হস্তান্তর না করে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র শুরু করে। ৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষনের মাধ্যমে মুক্তি পাগল বাঙ্গালীকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতা সংগ্রামের ঘোষণা দেয়। আজ সেই ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষন ইউনেস্কো কতৃক বিশেষ ঐতিহাসিক অমুল্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। নেবৃবৃন্দরা আরও বলেন, আজও স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা দেশ বিরোধী বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে দেশের চলমান উন্নয়নকে স্তব্ধ করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশের বরণ্য বুদ্ধিজীবিদের হত্যার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ বাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার আহবান জানান।

সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, এড:এ.কে আহমদ হোসেন, সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, মাহাবুবুল হক মুকুল, এড: রনজিত দাশ, এড: ইসহাক আহমেদ জি.পি, এড: নুরুল ইসলাম, নুরুল আবছার চেয়ারম্যান, ইউনুছ বাঙ্গালী, বাবু উজ্জ্বল কর, হামিদা তাহের, জহিরুল ইসলাম, মোরশেদ হোসেন তানিম, এড: প্রতিভা দাশ, ডা: পরিমল কান্তি দাশ, রফিক মাহমুদ, হাসান মেহেদী রহমান, রিদুয়ান আলী।

সভা পরিচালনা করেন, এম.এ মনজুর, এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- এড: বদিউল আলম সিকদার এস এম কামাল এড: সুলতানুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, এড: ফরিদুল আলম, এড: আয়াছুর রহমান, অধ্যাপক প্রিয়তোষ শর্মা চন্দন, খোরশেদ কুতুবী, কাজী মোস্তাক আহমদ শামীম, হেলাল উদ্দিন কবির, আবু তাহের আজাদ, জি.এম আবুল কাসেম, এড: আবদুর রউফ, বদরুল হাসান মিল্কী, ওসমান গণি, ইসমাইল সাজ্জাদ, পৌর আওয়ামীলীগ নেতা সেলিম উল্লাহ, শাহনেওয়াজ চৌধুরী, হাবিব উল্লাহ, আসিফুল মাওলা, সেলিম নেওয়াজ, মিজানুর রহমান, ওয়াহিদ মুরাদ সুমন, এ.বি ছিদ্দিক খোকন, শুভদত্ত বডুয়া, আহমদ উল্লাহ, শাহানা আক্তার পাখি, মিন্টু দাশ, গিয়াস উদ্দিন, আমির উদ্দিন, আবদুল মজিদ সুমন, সালাহ উদ্দিন, খোরশেদ আলম রুবেল, সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, জাফর আলম, আবুল কালাম, মো: ইলিয়াছ, ওসমান গণি টুলু, আবদুল্লাহ মাসুদ আজাদ, ফরিদুল আলম, আজিমুল হক আজিম প্রমুখ।