প্রতিদিন সকালে উঠে অফিসে যেতে অলসতা করা আমাদের প্রতিদিনের অভ্যাস। তখন অকারণেই আমাদের মন বিক্ষিপ্ত থাকে। অনেকে আবার খামখেয়ালি আচরণও করে থাকেন! কোনোকিছুই যেন আমাদের উৎফুল্ল করতে পারে না। কিছু অভ্যাস বদলে দিতে পারে অফিসের প্রতি আপনার এই বিরূপ মনোভাব। চলুন জেনে নেয়া যাক-

কৃতজ্ঞ থাকা:
এরপর যখন আপনি নিজের চাকরি নিয়ে হতাশাবোধ করবেন, তখন এমন কারো কথা ভাবুন যিনি নামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেও বাড়িতে বেকার বসে আছেন! অথবা এমন কারো কথা ভাবুন, যিনি যোগ্যতার তুলনায় কম দামি কোনো চাকরি করছেন। শুধু আপনি নন, প্রত্যেকেই কোনো না কোনোভাবে তাদের কর্মজীবনে সংগ্রাম করছেন। ভেবে দেখুন আপনি অনেকের থেকেই ভালো অবস্থানে রয়েছেন।

সংগঠিত:
কাজের একটুখানি প্রস্তুতি আর পরিকল্পনা আপনাকে পুরো সপ্তাহ দুশ্চিন্তামুক্ত রাখতে সাহায্য করবে। আপনার গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো মাথায় রেখে দিনের শুরুতেই কর্ম পরিকল্পনা করে ফেলুন। এটি আপনার কাজকে প্রাধান্য দিয়ে সময়কে কাজে লাগাবে। সুতরাং, চিন্তাধারা সংগঠিত রাখুন।

শুধুমাত্র অফিসের সময় কাজ:
অফিসের কাজ বাসায় করার অভ্যাস থাকলে আপনি নিজের কাজগুলো ঠিকভাবে করতে পারবেন না। জরুরি না হলে অফিস সময়ের পরে অফিসের মেইল চেক, চ্যাট গ্রুপ, কাজ সম্পর্কিত ফোনকল এড়িয়ে চলুন। চেষ্টা করুন অফিস ত্যাগ করার সময়টাতেই পেশাগত জীবনকে দূরে রাখতে। নিজের সময়টুকু পরিবার ও প্রিয়জনের সঙ্গে সুন্দরভাবে কাটান।

বিরতি:
কোনো বিরতি ছাড়া একনাগাড়ে কাজ করে গেলে আপনার কর্মস্পৃহা এবং মনোবল দুটোই কমে যাবে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে ডেস্ক ছেড়ে কিছুক্ষণের জন্য উঠুন। হতে পারে তা কফি খাওয়ার জন্য কিংবা সহকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করার জন্য। কিছুক্ষণ গানও শুনতে পারেন। এগুলোই আপনাকে কাজের প্রতি আরো যত্নশীল হতে সাহায্য করবে।

পোস্টার/ছবি:
আপনার ডেস্কের চারপাশে কিছু অনুপ্রেরণামূলক পোস্টার/ছবি রাখুন। যখন কাজে ক্লান্তি আসবে, সেগুলি পড়ুন। প্রিয়জনদের ছবিও রাখতে পারেন। যেন নিজেকে একা লাগলে সেদিকে তাকিয়ে মন ভালো করতে পারেন।