মমতাজ উদ্দিন আহমদ, আলীকদম:

মঙ্গলবার সকালে নারী নির্যাতন মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন আলীকদম উপজেলার থোয়াইচিং হেডম্যান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিকুল ইসলাম। অপর অভিযুক্ত আসামী চৈক্ষ্যং ত্রিপুরা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মনিরুল ইসলাম পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। মামলা হওয়ার পর থেকে প্রায়সময় স্ত্রী ও মেয়েকে প্রাণনাশের হুমকী দিয়ে আসছিলেন এ শিক্ষকরা। মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্তরা পার্শ্ববর্তী হান্নান মাস্টারের বাসায় বসে মামলার বাদী শিক্ষিকার ওপর হামলা প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে থানায় প্রদত্ত পৃথক একটি অভিযোগে জানা গেছে।

এ দু’শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবীতে স্ত্রী নির্যাতনের দায়ে আলীকদম থানায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ১১(গ)/৩০ ধারায় মামলা রুজু হয়। চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতেও ৭ ফেব্রুয়ারি যৌতুক নিরোধ আইনে আরেকটি মামলা হয় অভিযুক্ত শিক্ষক শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। পলাতক অবস্থায় থেকে অভিযুক্তরা মামলার বাদীকে বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ ও মারধর করার হুমকী দিয়ে আসছিল। এদিকে, এ মামলায় অভিযুক্ত শিক্ষকরা পুলিশ কর্তৃক ধৃত কিংবা আদালতে আত্মসমর্পন করেছেন কি না ১০ মার্চের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দেওয়ার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেন ডিপিইউ।

আলীকদম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রফিক উল্লাহ জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক মামলার পর থেকে তার স্ত্রীকে পুনরায় নির্যাতন করার হুমকী দিয়ে আসছিলো। তার বিরুদ্ধে থানায় এ সংক্রান্ত আরো একটি অভিযোগ হয়েছে।