সংবাদদাতা:
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তর সভাপতি আহমেদ সাদমান সালেহ বলেন সিরিয়ায় বছরের পর বছর ধরে চলমান যুদ্ধের অবসান না ঘটিয়ে উল্টো ক্ষমতাসীন আসাদ সরকারের একনায়কতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে রাশিয়ার নেতৃত্বে নতুন করে বোমা হামলা করা হচ্ছে। তাদের হামলায় নারী, শিশুসহ নির্বিচারে গণহত্যা চালানো হচ্ছে। শান্তি রক্ষার নামে বিশ্বের কতিপয় দেশ বিনা কারণে অন্য আরেকটি রাষ্ট্রে যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে পরমাণু অস্ত্রের খেলায় মেতে উঠছে। তারা নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে সারা দুনিয়াকে মৃত্যুকূপে পরিণত করেছে। সত্যিকারের শান্তিকামী দেশসমূহ সিরিয়ায় চলমান বোমা হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানালেও যুদ্ধবাজ এ দেশগুলো তা মানছে না। বরং যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা দিয়ে রাতের আধাঁরে মরণঘাতি অস্ত্র ব্যবহার করে বিশ্ব বিবেকের সাথে পরিহাস করছে। তিনি অবিলম্বে সিরিয়াসহ বিশ্বের অবুঝ শিশু ও মুসলিম গণহত্যা বন্ধের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে ওআইসি, আরব লীগ, জাতিসংঘের প্রতি জোর দাবী জানান।

ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তর’র উদ্যোগে সিরিয়ায় চলমান গণহত্যার প্রতিবাদ ও অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের দাবীতে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আজ (৫মার্চ) এসব কথা বলেন।

নগর উত্তর শিবির সেক্রেটারী আ স ম রায়হান’র পরিচালনায় এতো বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথি বলেন সিরিয়ার মানবিক কান্না নিয়ে আমরা বিশ্ব মোড়লদের রাজনীতি চাই না। তাদের হুংকার কিংবা পরমাণুর ভয় কোনোটিই মানবতা বান্ধব নয়। সিরিয়ার গণহত্যা আমাদের নতুন করে ভাবনার জন্ম দিয়েছে। আমরা জাতি-ধর্মের ভেদাভেদ চাই না। অসহায় বন্দী মানবতার মুক্তি চাই।

বক্তরা বলেন, তাদের এমন জঘণ্য কান্ডে বিশ্ব মানবাধিকার আজ ভূলুণ্ঠিত। মানবাধিকার রক্ষার কথা বললেও মধ্যযুগীয় বর্বরতায় মুসলিম দেশগুলোতে পাখি শিকারের মতো মানুষ হত্যা চলছে। বিশ্ব বিবেকের নীরবতা আজ মানুষকে হতবাক করছে। নগরীর অক্সিজেন মোড় এলাকায় আয়োজিত এ মানববন্ধন কর্মসুচিতে অংশগ্রহণকারী ছাত্ররা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন প্রদর্শন করে যুদ্ধবাজ দেশসমূহের বিরুদ্ধে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।