রফিক মাহমুদ,উখিয়া :
একদিন বিরতির পর বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তে আবারো অবস্থান নিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। স্থানীয়রা জানান, রোববার সকালে ৩ থেকে ৪টি ট্রাকে করে বিজিপির সদস্যদের পাশাপাশি মিয়ানমার সেনারা সীমান্তে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা, সীমান্তের কোনাপাড়া এলাকায় বাঙ্কার খনন শুরু করে।
এছাড়া, বিজিপির সদস্যরা সীমান্তের কাঁটা তার ঘেঁষে টহল দিচ্ছে নিয়মিত। এদিকে, মিয়ানমার সীমান্তে সৈন্যের উপস্থিতির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিবির পক্ষ থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শনিবার সকালে বিজিবির সক্ষমতা বাড়ানো হলে হঠাৎ করেই মিয়ানমার সৈন্যরা সীমান্ত ছেড়ে চলে যায়।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘মিয়ানমারের তো আছেই। এদের সৈন্য সমাবেশ আছেই। পতাকা বৈঠকের পর আহবানী বার্তা একটু কম থাকলেও তারা আছেন।’
বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান জানান, শনিবার সকাল থেকে অন্তত ৫শ’ সৈন্যের অবস্থান ছিলো তুমব্রু সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে। তাদের বিপরীতে বিজিবিও টহল জোরদার করেছে।
মিট পতাকা নিয়ে বিজিবি দল কোনারপাড়া হয়ে তুমব্রু জিরো পয়েন্টের দিকে এগিয়ে গেলে, মিয়ানমার সৈন্যরা ৬টি ট্রাকে করে সেখান থেকে সরে পড়ে।
এছাড়া বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষে তৈরি বাঙ্কারে অবস্থান নেয়া মিয়ানমার সৈন্যরাও দ্রুত চলে যায়।
এদিকে, গত তিনদিন সীমান্তে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজিবির সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান বলেন, ‘সীমান্তে যদি কোন ঘটনা ঘটে সেখানে বিজিবির কাজ ওটা লক্ষ্য রাখা এবং সতর্ক থাকা ও সীমান্ত পাহারা দেয়া। উল্লেখযোগ্য কোন ঘটনা ঘটেনি। দু’দিন আগে আমরা সীমান্তে অস্থিরতা দেখেছি সে তুলনায় সীমান্তের অবস্থা এখন অনেক ভালো এবং শান্ত। আমাদের সতর্ক থাকা দরকার।
সীমান্তে বিজিবির যে সদস্যগণ অাছে, তারা সবসময় সতর্ক আছে। এখন পর্যন্ত আতঙ্কিত হবার মতো কোনো পরিস্থিতি হয়নি। তেমন কিছু হলে আমাদের প্রস্তুতি আছে, আমরা লক্ষ্য রাখবো। আমাদের মাতৃভূমিতে কোন সমস্যা হবে না।’