মোঃ আশফাক উদ্দীন আরফাত, ঈদগাঁও:
কক্সবাজার ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের পানেরছড়া ঢালা থেকে অপহৃত দুইজনের মধ্য থেকে মো: লেদু মিয়া নামে একজন গত শুক্রবার সকালে কৌশলে পালিয়ে এসেছেছিলো। ঠিক একদিন পরে আজ ভোর সকালে হুমায়ুন কবির নামের ২য় জনও কৌশলে পালিয়ে এসেছে অপহৃতকারীর কবল থেকে।
সে খুটাখালী ফুলছড়ি গ্রামের মোঃ সেলিমের ছেলে।
পালিয়ে আসা হুমায়ন জানায়, অপহৃত দুইজনকে বিছানার মধ্যে রেখে অপহরণকারীরা ঘুমিয়ে পড়ে। তাদের দুইজনেরই হাত বাঁধা ছিল। অপহরণাকীদের সদস্য সংখ্যা ১০ জন।প্রত্যেক জনের হাতে অস্ত্র রয়েছে।
সে আরো জানায়, হাতের বাঁধন খুলে কৌশলে ভোমরিয়াঘোনার পাহাড়ে চলে আসে।
ওই এলাকার এক কাঠুরিয়ারা তাকে পেয়ে তাৎক্ষনিক স্থানীয়দের খবর দেয় এবং ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মিনহাজ মাহমুদ ভূইয়াকে অবহিত করেন। স্থানীয়রা আজ (৩মার্চ) সকাল ৬ টার দিকে হুমায়নকে পাহাড় থেকে উদ্ধার করে পশ্চিম ভোমরিয়াঘোনা বাজারে নিয়ে আসে, পরে পুলিশ ফোর্স এসে থাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে পুলিশ হেফাজতে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসে।
১ মার্চ দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কের পানেরছড়া ঢালায় ভাঙ্গনকৃত স্থান থেকে তাদের অপহরণ করা হয়। এরপর তাদের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা দাবী করে অপহরণকারীরা।
পালিয়ে আসা হুমায়নের হাতে রশি দিয়ে বেধে রাখার চিহ্ন, পিটে চওড়া হওয়া বেতের আঘাত সহ শারিরিক নির্যাতনের চিহ্ন দেখা যায়।
পালিয়ে আসার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মিনহাজ মাহমুদ ভূইয়া।
অপহরণকারীদের কবল থেকে পালিয়ে রক্ষা
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।