মোঃ আবু সায়েম :

যোগ্য ও বলিষ্ট নেতৃত্বে কক্সবাজার জেলা কারাগারের উন্নয়নের গতিকে তরান্বিত করছে, জেল সুপার বজলুর রশিদ আখন্দ এবং জেলার শাহদাত হোছাইন। দীর্ঘ সমস্যায় জর্জরিত থাকা জেলা কারাগারে বর্তমানে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ চলছে। একটি প্রবাদ আছে, কীর্তিমানের মৃত্যু নেই। তারই জ্বলন্ত উদাহরণ কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার ও জেলার। এ প্রবাদকে তুলনা করা হয়েছে কারণ, তাদের এ নতুনত্ব তথা সৃষ্টি তারা যখন বদলিজনিত কারণে অনত্রে চলে যাবেন, তখন তা মানুষের মনে স্থান পাবে এবং প্রাণভরে তাদের এ কর্মকান্ড স্মরণ করবে।

কক্সবাজার জেলা কারাগারে অনেক কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেছে, কিন্তু উন্নয়নের কার্যক্রমকে বেগবান করতে পারে নায়। বর্তমানে জেলা কারাগারের জেল সুপার এবং জেলার এক ব্যতিক্রম উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। কারাগারে হাজতি কয়েদীরা যাতে অলস সময় অতিবাহিত না করে তার জন্য কারা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে পুরুষ ও মহিলা বন্দীরা তৈরী করছে নির্মাণ শিল্প। যার মধ্যে হস্ত শিল্প, কুটির শিল্প এবং নঁকশি কাঁথা অন্যতম। এবং তাদের তৈরীকৃত পণ্য কক্সবাজার বাণিজ্য মেলায় বিক্রি হচ্ছে এবং তাদের এ নির্মাণ শিল্প বেশ প্রশংসিত হয়েছে। এমনকি ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় তাদের এ নির্মাণ শিল্প স্থান লাভ করে। এবং নানা ধরণের স্টলগুলোর মধ্যে কারাগারের স্টল প্রথম স্থান লাভ করে। কয়েদীদের নির্মাণ শিল্প এ পর্যন্ত যা বিক্রি হয়েছে সুষ্ঠভাবে তাদের লভ্যাংশ প্রদান করা হচ্ছে। হাজতি কয়েদিরা যাতে তাদের এ নিপুণ শিল্পে উৎসাহ উদ্দীপনাকে কাজে লাগিয়ে তাদের এ মহৎ কর্মকান্ড আরো সম্প্রসারিত হয় তার জন্য কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার এবং জেলার অনবদ্য ভ‚মিকা পালন করবে।

কক্সবাজারের জেলা কারাগারের জেল সুপার ও জেলারের উদ্যোগে হাজতি কয়েদী মহিলাদের বাচ্চাদের জন্য তৈরী করা হয়েছে শিশু পার্ক। যা সত্যিই প্রশংসনীয়।

এছাড়া দর্শণার্থীদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে আধুনিক অপেক্ষাগার। সেখানে রাখা হয়েছে সাউন্ড সিস্টেম। সুশৃংখল পরিবেশে দর্শণার্থীরা তাদের আত্মীয় স্বজনের সাথে দেখা করে নিরাপদে বাড়ি ফিরছে। কারা কর্তৃপক্ষের আর এক ব্যতিক্রমধর্মী নির্দশন হচ্ছে পূর্বে দেখা সাক্ষাতে সিøপের জন্য ৫ টাকা নিলেও তারা যোগদানের পর সেটা সম্পুর্ণ ফ্রি করা হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেলার শাহাদাত হোছাইন বলেন, হাজতি কয়েদীরা যাতে কোন ধরণের সমস্যায় পতিত না হয় এবং তাদের জন্য কোন কষ্ট না হয় আমি যোগদানের পর থেকে সেদিকে বেশি নজর প্রদান করছি। কক্সবাজার জেলা কারাগারের জন্য আমি আমার শারীরিক শ্রম এবং মানসিক শ্রম প্রতিনিয়ত প্রদান করছি। ইনশাআল্লাহ কাক্সিক্ষত সফলতা অর্জন করতে পারবো।

কক্সবাজার জেলা কারাগারে জেল সুপার বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা হিসেবে সরকারের দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করছি। আমি যোগদানের পর থেকে কক্সবাজার জেলা কারাগারের উন্নয়নের গতিকে তরান্বিত করছি। বন্দি পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে আমরা কার্যক্রমকে প্রতিনিয়ত বেগবান করছি। ইনশাআল্লাহ আমি আশা করছি কক্সবাজার জেলা কারাগারকে মডেল কারাগার হিসেবে রূপান্তর করার জন্য যাবতীয় উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।