শাহেদ মিজান, সিবিএন:
আজ শুক্রবার বেলা ৩টায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার পতাকা বৈঠক বসছে। বাংলাদেশের আহ্বানে পতাকা বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার। বাংলাদেশ সীমান্তের ঘুমধুম পয়েন্টে এই বৈঠক হবে। বিজিবি ও মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির মধ্যে এই বৈঠক হবে। ৩৪ ব্যাটেলিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল মঞ্জুরুল আহসান খান গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি জানান, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এখনো অবস্থান করছে। তমব্রু সীমান্তের পরিস্থিতি এখনও থমথমে। এ অবস্থায় বিজিবির আহ্ববানে মায়ানমারের সীমান্ত বিজিপির সঙ্গে পতাকা বৈঠকে বসছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে মিয়ানমার সীমান্তে শক্তি বৃদ্ধি করায় আমরা প্রতিবাদ জানিয়ে বিজিপিকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছিলাম। তার প্রেক্ষিতে আজ বৈঠক হচ্ছে।

মঞ্জুরুল হাসান খান বলেন, সীমান্তে বিজিবিকে সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে। একইসাথে নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তমব্রু সীমান্তের ওপারে দেড়শ গজের মধ্যে সামরিক শক্তি বৃদ্ধির প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত লুইন উকে তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এ সময় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে বলা হয়, এ ধরনের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি সীমান্তে বিভ্রান্তির পাশাপাশি উত্তেজনা ছড়াবে। তাই ওই এলাকা থেকে সামরিক সরঞ্জামাদি সরিয়ে নিতে মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলেন তিনি। এ ব্যাপারে তার কাছে একটি কূটনৈতিক পত্র দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, বিজিবি সেখানে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। দেশের ভেতরে এসে কেউ বিশৃঙ্খলা করবে, এটা অসম্ভব। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামে বিজিবির ৯১তম ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর রাখাইন রাজ্য থেকে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে পালিয়ে আসে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এর আসে আরও ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। প্রায় ১১ লাখের মধ্যে ইতিমধ্যে ১০ লাখ ৭৬ হাজার রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক নিবন্ধন হয়েছে।