নো মেন্স ল্যান্ডের বসতি রোহিঙ্গারা আতঙ্ক ও উৎকন্ঠায় র্নিঘুম রাত কাটাছে

শামীম ইকবাল চৌধুরী,নাইক্ষ্যংছড়ি(বান্দরবান) থেকেঃ

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের নো মেন্স ল্যান্ডের কাছাকাছি ওপারে গুলি বর্ষণের আওয়াজে কোনাপাড়ার শুন্যরেখায় অবস্থানরত সাড়ে ছয় হাজার রোহিঙ্গারা আতঙ্ক ও উৎকন্ঠায় র্নিঘুম রাত কাটার আশঙ্কায় রয়েছে।

 ১ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তুমব্রু সীমান্তে কোনা পাড়ার নো মেন্স ল্যান্ডের হঠাৎ করে অতিরিক্ত সৈন্য সমাবেশ ঘটাচ্ছে মিয়ানমার। রোহিঙ্গাদের দিকে ভারী অস্ত্রের পাশাপাশি হালকা অস্ত্র তাক করে রেখেছে বর্মী সেনারা। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের মতো যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিজিবি সম্পূর্ণরূপে সীমান্তে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব সৈন্য সমাবেশকে কেন্দ্র করে উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্টে বিজিবি টহল জোরদার ও নজরদারি বাড়িয়েছে।

সূত্রে জানাযায়, তুমব্রু সীমান্তের কোনাপাড়ার ঠিক ওপাড়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভারী অস্ত্রসহ হালকা অস্ত্র নিয়ে শুন্যরেখায় সৈন্য সমাবেশ করে আসছে। তবে সন্ধ্যা পর মিয়ানমার সেনারা দুইটি ফাঁকা গুলি বর্ষণের আওয়াজ করে আতঙ্কের চেষ্টা চালাছে। তবে রোহিঙ্গারা লাঠিসটা নিয়ে রাত জেগে পাহারা দেওয়ার প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। আর এদিকে সীমান্তের বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।

বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গারা জানান, বর্মী সেনারা রাতে মদ্যপান করে মাঝে মধ্যে কাঠবিড়ালিকে গুলি করে মেরে পুড়িয়ে খেতে অভ্যস্ত। তবে আজকের গুলির আওয়াজটি সীমান্ত আতঙ্ক রাখার জন্য আমাদের মনে হচ্ছে। তবে আমরাও আমাদের পরিবার পরিজনকে সমস্যা থেকে রক্ষা করতে বিজিবির পাশাপাশি আমরাও পালাক্রমে রাতজেগে পাহারা দিচ্ছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম সরওয়ার কামাল জানান, সন্ধ্যার পর তুমব্রু সীমান্তের ওপারে দুইটা গুলি বর্ষণের আওয়াজ শোনা গেছে। তবে আমাদের দেশকে লক্ষ করে নয়। হয়ত সীমান্তে আতঙ্ক রাখার জন্য ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়েছে। গুলি বর্ষণে কোন রকম হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

তবে আমাদের বিজিবি এই বিষয়ে সর্তকতায় টহল ও নজরদারি বাড়িয়েছে। এলাকাবাসীও দেশ রক্ষার্থে অতন্দ্রপ্রহরীর মত সহযোগিতা করে যাচ্ছে বলে তিনি আরও জানান।

বিজিবির আধিনায়ক আনোয়ার আযিম এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আর কোন ধরণের গুলিবর্ষণের আওয়াজ ও মাইকিং এর আওয়াজ পাওয়া যায়নি।