বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাত আটটার মধ্যে রাতের খাবার সারতে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে অনেকেই রাতের খাবার খেয়ে অভ্যস্ত নন। খাবার খেতে ১০-১১ টা বেজে যায়, এরপরও রাতে ঘুমানোর আগে ক্ষুধা লাগে। ইচ্ছে করে হালকা কিছু খেতে। তখন এই হালকা খাবার হিসেবে আমরা বেছে নেই বিস্কুট, কেক বা মিষ্টি জাতীয় খাবার।

যেখানে, রাতে মূল খাবারই হালকা হওয়া উচিত, আর ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে।
ডিনারে কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনের পরিমাণ কম থাকতে হবে। ফাইবারও খুব বেশি খাওয়া যাবে না। অল্প ভাত বা দু’টি রুটি, সবজি, সালাদ, মাছ বা মাংস ছোট এক টুকরো হতে পারে রাতের পারফেক্ট ডিনার।

বেশি তেল মসলায় রান্না না করে গ্রিল ফুড খাওয়ার অভ্যেস করুন, এতে বাড়তি ফ্যাট যোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

রাতে দেরিতে খেলে যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে

১. মানসিক চাপ বাড়ে
২. স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়
৩. ঘুমের সমস্যা হয়
৪. এসিডিটি, বুক জ্বালা সঙ্গে
৫. হজমে সমস্যা হয়
৬. ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে
৭. রক্তচাপ বাড়বে
৮. শরীরে ক্ষতিকর চর্বি বাড়ে
৯. ফলাফল বাড়তি ওজন।

তারপরও যদি ক্ষুধা অনুভব করেন, তাহলে খেতে পারেন:

দই-ক্ষুধা নিবারণের জন্যও এটি বেশ ভালো। চিনি খেতে সমস্যা থাকলে টক দই খেতে পারেন।

কলা-কলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। পটাশিয়াম দেহের রক্ত বৃদ্ধির জন্য খুব কাজে লাগে। কলা খেলে ভালো ঘুম হবে এবং এতে বেশি পরিমাণে ক্যালোরি নেই।

বাদাম/খেজুর-বাদাম প্রোটিন ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। এটি ঘুমের আগে খেলে বেশ ভালো ঘুম হবে আর সাথে পেটও ভরবে। কাজুবাদাম, পেস্তাবাদাম, চীনাবাদাম যেকোন বাদামই ঘুমের আগে চিবানো যায়। খেতে পারেন পুষ্টিকর খেজুরও।

যাই খাবেন পরিমাণে অবশ্যই কম। আর খেয়েই বিছানায় যাবেন না, ঘরের মধ্যেই একটু হেঁটে দেখুন ঘরের দরজা বন্ধ করা হলো কিনা, সব ঘরে নক করে সবাইকে একবার গুডনাইটও বলে আসতে পারেন।