শাহিদ মোস্তফা শাহিদ,কক্সবাজার সদর :

কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওতে মামাত বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে লাশ হয়ে ফিরল মামা-ভাগ্নে। এ ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া বিরাজ করছে।নিহতদের লাশ প্রশাসনিক অনুমতিক্রমে বিনা ময়না তদন্তের পর দাফনের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে স্বজনরা।নিহতরা হল ইসলামপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বামনকাটা এলাকার মোক্তার আহমদের ছেলে নাপিত খালী মাধ্যামিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর পড়ুয়া ছাত্র মোঃ আবদুল্লাহ (১৫) ও তার ভাগ্নে পোকখালী গোমাতলী এলাকার নাছির উদ্দীনের পুত্র মোঃ মিরাজ উদ্দীন শাহরিয়ার(৮)। সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানা যায়,নিহত দুইজনই গতকাল মঙ্গলবার বিকালে ঈদগাঁও ইউনিয়নের মধ্যম ভোমরিয়াঘোনা এলাকার বাসিন্দা রশিদ আহম্মদের বাড়িতে বেড়াতে যায়।যথারীতি রাতে খাওয়া ধাওয়া শেষে বাড়ির একটি রুমে ঘুমিয়ে পড়ে তারা।নিহতদের নিকট আত্বীয় হারুন অর রশিদ জানায়,রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে বৈদ্যতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হলে মুহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান সর্বত্রে ছড়িয়ে পড়ে।তারাহুড়া করে পরিবারের সবাই বের হতে পারলেও নিহতদের রুমের দরজা শিকলবন্দি থাকায় উদ্ধার করতে সময় ক্ষেপন হয়েছে।এ কারনেই তাদের অকাল মৃত্যু হয়েছে।ক্ষতিগ্রস্থ মালিক ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়,পুড়ে যাও বসতবাড়ি দুটির নগদটাকা,রক্ষিত স্বর্ণ,অন্যান্য মালামালসহ আনুমানিক দশ লক্ষ টাকার মত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।এদিকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের হেফাজতে রাখা হয়েছে।প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষে লাশ স্বজনদের মাঝে হস্থান্তর করা হবে বলে জানান ইনচার্জ মিনহাজ মাহমুদ ভুঁইয়া।খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সাবেক সাংসদ লুৎফুর রহমান কাজল,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল,সদর ইউএনও নোমান হোসেন প্রিন্স,সদর রামু সার্কেল রুহুল কুদ্দুসসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ব্যক্তিবর্গরা।অপরদিকে মামা- ভাগ্নের মৃত্যুতে স্বজন,এলাকাবাসী, শিক্ষাঙ্গন,সহপাঠী ও সর্বমহলে শোকের ছায়া বিরাজ করছে।নিহত আবদুল্লাহর মা গোলচেহের বেগম ও শাহরিয়ারের মা সুমি আক্তার ছেলেদের শোকে বার বার বিলাপ করে মুর্চা যাচ্ছিল।তাদের কান্না কোন ভাবেই থামাতে পারছে না স্বজনরা।ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ছৈয়দ আলম অগ্নিকান্ডের ঘটনার সত্যাতা নিশ্চিত করেন।ইসলামপুর ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার ইদ্রিস রানা জানান,স্বজনদের মাঝে প্রশাসন লাশ হস্থান্তর করলে বামনকাটা মসজিদে জানাযা পরবর্তী বড় কবরস্থানে দাফন করা হবে।