মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি:

রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৫ ও ৮ নং ওয়ার্ডের সড়কের মাঝখানে এলজিইডির করা লক্ষ টাকার ব্রীজ থাকলেও চলাচলের রাস্তা নেই। দীর্ঘ  তিন বছর ধরে একটি সড়কের ব্রীজ এবং রাস্তাটি অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে আছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের বড় জাংছড়ি পশ্চিমকুল থেকে মোরা পাড়া যাওয়ার পথে এই ব্রীজটি এইভাবে পড়ে থাকায় ঐ গ্রামের শত শত মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। এই এলাকার যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে এই রাস্তা এবং ব্রীজটি। গত তিন বছর আগে রামু উপজেলার এলজিইডির তত্ত্বাবধানে স্থানীয় একজন টিকাদার নির্মাণ করে দিলেও দুই পাশে কোন সাইট ওয়াল না দেওয়ায় মাটি সরে গিয়ে ব্রীজটি রাস্তা ছাড়া এ ভাবে খাড়া হয়ে আছে দীর্ঘ তিন বছর।

স্থানীয় মাষ্টার নাছির মোহাম্মদ জানান, এই ব্রীজটি দিয়ে চালা চল এলাকার কয়েকশত পরিবারের অতি প্রয়োজন, বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এই এলাকার শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থীরা স্কুল মাদ্রাসায় যাতায়াত করে। কিন্তু ব্রীজের সাইট ওয়াল না থাকায় অতি বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের পানিতে ব্রীজের দুইপাশের মাটি সরে গিয়ে খালে পরিণত হয়েছে। তাই বর্ষাকালে শিক্ষার্থীদের স্কুল মাদরাসায় যাওয়া বন্ধ হয়ে পড়ে।

জানা গেছে, এ গ্রামের মানুষগুলো প্রতিনিয়ত যাতায়াতে  কষ্টের শেষ নেই। তাদের দাবী ব্রীজটির দুইপাশে সাইড ওয়ালসহ মাটি ভরাট করে যাতায়াতের ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্ট  প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

কচ্ছপিয়া ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান  নুরুল আবছার এই ব্রীজের সাইট ওয়ালসহ মাটি ভরাটের জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার কথা দিয়ে ছিল। যদি বাজেট না পায় তিনি বর্ষার আগে কর্মসূচির মানুষ দিয়ে হলেও দুইপাশের মাটি ভরাট করে দেওয়া হবে বলে জানালেও সম্প্রতি ৪০ দিনের কর্মসূচীর কাজও শেষ হয়ে গেছে ব্রীজের দুই পাশের মাটি ভরাট হল না।