মমতাজ উদ্দিন আহমদ, আলীকদম:

জমি ও বাগানের গাছ কর্তনের প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এর কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করার একমাসের মাথায় আগুনে পুড়ে গেলো আলীকদমের একজন মুক্তিযোদ্ধার বসতবাড়ি। বসতবাড়িতে আগুন লাগার বিষয়টিকে পরিকল্পিত বলে দাবী করছেন ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিক উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের ভরিরমুখ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হুদা। তিনি গত ২৩ জানুয়ারি একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফেরদৌস রহমানের বিরুদ্ধে ইউএনও কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছিলেন।

প্রাপ্ত অভিযোগে প্রকাশ, মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হুদার নামে ২৮৯নং চৈক্ষ্যং মৌজার হোল্ডিং নং- ৪৬৬ এর চৌহদ্দিতে ৩ একর ১ম শ্রেণির জমি সরকারি তৌজিভূক্ত আছে। এ জমির পার্শ্ববর্তী জরীপের সিট নং- ১৪, দাগ নং- ১৪৬৪ এর আন্দর ১ একর এবং সিট নম্বর- ১৫ এর আন্দর ৩.২০ একর মিলে মোট ৪.২০ একর জমিতে বাগান সৃজন ও বসতবাড়ি তৈরী করে আছেন তিনি।

নুরুল হুদা অভিযোগ করেন, চৈক্ষ্যং ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদৌস রহমান গত ২২ জানুয়ারি ৭/৮ জন লোক নিয়ে ০.৮০ একর জমি দখল করে নিয়ে চাষাবাদ শুরু করেন। পাশাপাশি তার বাগান থেকে চেয়ারম্যানের লোকজন সেগুন, মেহগনি, গামারিসহ মূল্যবান গাছপালা কেটে নিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হুদা এ জমির দখল নিয়ে মৃত্যুর হুমকিতে আছেন বলে অভিযোগে দাবী করেন।

এদিকে, আলীকদম থানার জিডি নম্বর ১০৫৭ থেকে জানা গেছে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সকাল আটটার সময় মুক্তিযোদ্ধার টিন কাঠের তৈরি ঘরটি পুড়ে যায়। এ সময় তার মুক্তিযোদ্ধা সনদ, পরিবারের আইডি কার্ড, জন্ম নিবন্ধন কার্ড, জমির কাগজ ও নগদর ৬ লক্ষ টাকা পুড়ে যায়। আগুনে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়।

এ ব্যাপারে চৈক্ষ্যং ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদৌস রহমান বলেন, নুরুল হুদার সাথে আমার কোনো বিরোধ নেই। আমার জায়গাতে আমি আছি। আমার কোনো লোক তার জমি দখল করেনি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।