এই লজ্জা রাখি কোথায়?

প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০৯:২৬ , আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০৯:৪১

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


এরা সবাই যৌনকর্মী। দেহ ব্যবসা করে অর্থ আয় তাদের মূল পূঁজি। অবৈধ কাজ করতে লজ্জা লাগেনা, ধরা পড়ার পর লজ্জায় নিজেকে আড়াল করতে চাচ্ছে যৌনকর্মীরা। বিবেকের জিজ্ঞাসা, এই লজ্জা রাখি কোথায়?

সিবিএন:
কক্সবাজারের কলাতলী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বিপরীতে ‘সী-ফ্লাওয়ার’ নামে একটি কটেজ থেকে ১৪ জন যৌনকর্মীকে আটক করা হয়েছে।

শুক্রবার রাত ৯টার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নোমান হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এসব যৌনকর্মীকে আটক করা হয়। পরে তাদের প্রাথমিক জরিমানা করে ছেড়ে দেয়া হয়। অভিযানের সময় কটেজটির ভাড়াটিয়া দেলোয়ার পালিয়ে যান।

অভিযান নেতৃত্বদানকারী নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নোমান হোসেন বলেন- দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ রয়েছে কলাতলী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সামনে বেশ কয়েকটি কটেজে অবৈধভাবে যৌন ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে কয়েকটি সিন্ডিকেট। কটেজের কয়েকটি রুম ব্যবহার করে তারা এই অবৈধ ব্যবসা করে যাচ্ছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ‘সী-ফ্লাওয়ার’ নামে একটি কটেজে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে পাঁচজন খদ্দর ও নয়জন পতিতাসহ ১৪ জন যৌনকর্মীকে আটক হয়। পরে জনপ্রতি খদ্দরকে ২০০ টাকা ও পতিতাদের ১০০ টাকা করে জরিমানা আদায় করে প্রাথমিকভাবে সতর্কমূলক ছেড়ে দেয়া হয়েছে। কটেজের ভাড়াটিয়া দেলোয়ার পালিয়ে যায়। তাকে না পেয়ে কটেজটি সীলগালা করে দেয়া হয়েছে।

নোমান হোসেন বলেন- সচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রাথমিকভাবে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তারপরও যদি কেউ অবৈধভাবে এই যৌন ব্যবসা চালিয়ে যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অভিযানের পর দন্ড প্রদানকালে ইউএনও মো. নোমান হোসেন।

এদিকে যৌনকর্মী আটকের পর ফেসবুক স্ট্যাটাসে সদর ইউএনও মো. নোমান হোসেন লিখেছেন-
সম্মানিত অভিভাবকবৃন্দ, অাপনাদের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি। অাপনার অাদরের সন্তান কোথায় যায়, কার সাথে মিশছে, পড়াশোনা করছে কিনা? এগুলো সম্পর্কে খোঁজ খবর নিন। অাপনার সন্তান মাদক/ইয়াবাসেবী/ সন্ত্রাসী এর সাথে মিশছে না তো!? পতিতালয়/নিষিদ্ধ স্থানে যাচ্ছে না তো??

অাপনার সন্তানকে সময় দিন, সন্তানের প্রতি অারো যত্নবান হোন। সন্তানকে সকল অন্যায় ও খারাপ কাজ হতে দুরে রাখুন। প্রশাসন অাপনাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।