আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রোহিঙ্গাদের গ্রাম পুড়িয়ে দেয়ার পর ধ্বংসস্তুপের আলামত বুলডোজার দিয়ে নষ্ট করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। গত আগস্টে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে গত আগস্টে অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত বাংলাদেশে এসেছে প্রায় সাত লাখ সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম। আন্তর্জাতিক স্প্রদায় এই অভিযানকে জাতিগত নিধন বলে আখ্যা দিয়েছে।

স্যাটেলাইট থেকে ধারণকৃত দৃশ্যে দেখা গেছে রোহিঙ্গা পল্লীতে বুলডোজার চালিয়ে রোহিঙ্গা আলামত নষ্ট করা হচ্ছে। কলম্বোভিত্তিক ডিজিটাল গ্লোব শুক্রবার এমন দৃশ্যের ছবি প্রকাশ করেছে বলে বার্তা সংস্থা এপিতে সংবা্দ প্রকাশিত হয়। যেখানে দেখা যায় সাম্প্রতিক স্পতাহগুলোতে কয়েক ডজন গ্রামে বুলডোজার চালিয়ে ধ্বংসস্তুপের চিহ্নও মুছে দিচ্ছে। এসব ছবি বিশ্লেষণ করে উদ্বেগের কথা জানিয়েছে এইচআরডব্লিউ।

সংস্থাটির আশঙ্কা এর মধ্য দিয়ে ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনীর চালানো ধ্বংসযজ্ঞের প্রমাণ মুছে ফেলার ব্যবস্থা করেছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ।

এইচআরডব্লিউ বলছে, স্যাটেলাইটের ছবিতে দেখা গেছে গত আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৩৬২টি রোহিঙ্গা গ্রাম পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংসের প্রমাণ মিলেছে। এইচআরডব্লিউর এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস এক বিবৃতিতে বলেন, এসব গ্রাম ছিল রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর দমন অভিযানের ভয়াবহতার প্রমাণ। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা যাতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার আলামত সংগ্রহ করতে পারেন এবং দোষীদের যাতে যথাযথভাবে শনাক্ত করা যায়, সেজন্যই এসব গ্রাম ওই অবস্থায় সংরক্ষণ করা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে এক সময় সেখনে যে রোহিঙ্গাদের বসবাস ছিল সেই স্মৃতি এবং আইনি অধিকারের চিহ্নও বুলডোজার দিয়ে মুছে ফেলা হচ্ছে।’

এইচআরডব্লিউর প্রতিবেদনের বিষয়ে মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জ তাইয়ের কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।