ডেস্ক নিউজ:

খালেদা জিয়া (ফাইল ছবি)জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিলের গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানিকালে ৩১টি যুক্তিতে তার জামিন আবেদন করবেন আইনজীবীরা। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে খালেদা জিয়ার প্যানেল আইনজীবীদের অন্যতম সদস্য অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য দেন।

সগীর হোসেন লিওন বলেন, ‘খালেদা জিয়ার পক্ষে আপিল গ্রহণযোগ্যতার শুনানির সময় আমরা তার জামিন আবেদন করবো। আবেদনটি ৮৮০ পৃষ্ঠার। এতে ৪৮টি প্যারা ও ৩১টি যুক্তি রয়েছে।’

জামিন আবেদনটিতে কী কী যুক্তি দেখানো হয়েছে সে সম্পর্কে জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার প্যানেল আইনজীবীদের অন্য এক সদস্য ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। তাকে রাজনৈতিকভাবে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে এই মামলা করা হয়েছে। এটা প্রতিহিংসামূলক মামলা। এ মামলায় ইতোমধ্যে তিনি জামিন পেয়েছেন(বিচারিক আদালতে মামলা চলাকালে)। তার বয়স ও শরিরীক অবস্থা বিবেচনায়, দুর্নীতির অভিযোগের সঙ্গে তার কোনও সম্পৃক্ততা নেই এবং সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া তাকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে মর্মে মোট ৩১টি যুক্তি দেখানো হয়েছে।’

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের কপি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রাষ্ট্রপক্ষের কাছে সরবরাহ করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। একইসঙ্গে এ মামলার অপর আসামি তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ বাকি পাঁচজনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাদের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা জরিমানাও করা হয়। রায়ের পর থেকেই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারে রাখা হয়েছে।