ডেস্ক নিউজ:

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় হাইকোর্টে আপিল শুনানিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে লড়বেন অর্ধশতাধিক অাইনজীবী।

বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের সদস্য ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান।

তিনি জানান, আপিল শুনানিতে ৫৩জন অাইনজীবী নিয়োগ দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে প্রধান করে করা আইনজীবী প্যানেলের ৫৩ সদস্যই ওকালতনামায় স্বাক্ষর করেছেন।

অন্য আইনজীবীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক স্পিকার ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ জে মোহাম্মাদ আলী, সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুর রেজাক খান, সাবেক মন্ত্রী ও ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আমিনুল হক, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন, সাবেক মন্ত্রী ও ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসির, সাবেক মন্ত্রী ও ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধরী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ও দলের যুগ্ম-মহাসিচব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, বারের সাবেক সম্পাদক ও বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার বদরোদ্দোজা বাদল, বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আকতারুজ্জামান, অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান, অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন, ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান ও অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত গত ৮ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা করেন। রায়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও একবছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এ রায়ের জাবেদা নকল কপি খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা হাতে পান ১৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেলে। এরপর সোমবার রাত এবং মঙ্গলবারে দফায় দফায় বৈঠক শেষ করার পর আপিল আবেদন চূড়ান্ত করেন আইনজীবীরা।

নিম্ন (বিচারকি) আদালত থেকে রায়ের অনুলিপি পাওয়ার একদিন পর মঙ্গলবার আপিল আবেদন করা হয়। ৬০ পৃষ্ঠার মূল আপিলে ৪৪টি যুক্তি তুলে ধরে মোট এক হাজার ২২২ পৃষ্ঠার নথিপত্র আবেদনে নিম্ন আদালতের দেয়া সাজা বাতিল চাওয়া হয়েছে। আপিল আবেদনকারী আইনজীবী হলেন অ্যাডভোকেট আবদুর রেজাক খান।

হাইকোর্টে দায়ের করা আপিলের গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ দিন ঠিক করেন।

রাজধানীর রমনা মডেল থানায় ২০০৮ সালের ৩ জুলাই ওই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় খালেদা জিয়া, তার দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট এ মামলার অভিযোগপত্র দেয় দুদক।