প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু:

পুরো নাম আপন দে। তার স্ত্রীর নাম বিষু দে। এই দম্পতির একমাত্র শিশু সন্তানের নাম শিশির দে। তারা আমাদের রামু উপজেলার পূর্ব মেরংলোয়া গ্রামের বাসিন্দা।

হত দরিদ্র এই পরিবারের দুনিয়ার সকল উৎকন্ঠা এখন আদরের শিশুকে নিয়ে। কিভাবে তাকে বাঁচানো যায়। গত কয়েক দিন ধরে নাকি আমার কাছে আসছেন। কিন্তু আমার দেখা মিলেনি। এই খবর জেনে নিজেকে খুব খাটো মনে হল। আজকে অনেকক্ষণ কথা হল তাদের সাথে। খুব মায়া হয় শিশিরের নিষ্পাপ চেহারার দিকে তাকালে।

পরিবারের সাথে কথা বলে জানতে পারি, ৬ মাস আগে শিশিরের জন্ম হয়। গত তিন মাস থেকে দেখা যায় শিশিরের মাথা ধীরে ধীরে বড় হয়ে যাচ্ছে। বড় হতে হতে এখন এমন পর্যায়ে চলে এল দ্রুত অপারেশন করা না গেলে শিশিরকে বাঁচানো যাবেনা। মাথায় পানি জমার কারণে নাকি মাথা দিন দিন অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যাচ্ছে। এই পানি সরাতে হবে। এই রোগের নাম যুফৎড়পবঢ়যধষঁং.

প্রায় বিশ দিন মত চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। টাকার অভাবে শিশিরকে এখন বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে।

যার এখনো জীবন কি? রোগ কি? মৃত্যু কি? জানাই হল না তার হল এমন ব্যাধি। শিশির এখনো মাকে মা বলে ডাকতে পারেনি। মায়েরও এখনো শিশিরের মা ডাক শুনা হলনা।

তাদের নাকি আমার উপর খুব বিশ্বাস আছে যে, আমি কিছু একটা করতে পারবো। আর আমার বিশ্বাস তো মানুষে। এত হ্নদয়বান মানুষের ভিড়ে শিশির মাত্র লাখ খানেক টাকার জন্য এভাবে হারিয়ে যেতে পারেনা। শিশির কি আমাদের সবাইকে মানবিক পরীক্ষায় ফেলল?