মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:
চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় বনভূমি দখল বাণিজ্য থেমে নেই। ইউনিয়নের রংমহল হাতিপাড়া ও অলিবাপের জুম গ্রামে সরেজমিনে এমনই চিত্র পাওয়া যায়। বনবিভাগের অভিযানকে তোয়াক্কা না করে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের দাপটে অব্যাহত রেখেছে অবৈধ দখল বাণিজ্য।
তবে প্রতিনিয়ত ভাঙ্গা-গড়ার খেলা চলছে এখানে। অপরদিকে যাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে প্রভাবশালীদের টাকা দিয়ে বনভূমি ক্রেতা গরিব জনগোষ্ঠী। অভিযোগ রয়েছে ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের আওতাধীন রংমহল এলাকার বেসকিছু বনভূমি প্লট আকারে বিক্রি করছে ক্ষমতাশীন দলের এক প্রভাবশালী।
তার নেতৃত্বে সরকারী কোনপ্রকার নিয়ম-রীতি তোয়াক্কা না করে অব্যাহত রেখেছে বনভূমি অবৈধ দখল। গত শুক্রবার বনবিভাগের একটি অভিযানে গুড়িয়ে দিয়েছে হাতিপাড়ার অবৈধ দখলীয় কয়েকটি বসতঘর। স্থানীয়রা জানায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে আসার পরপরই প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ফের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যায়।
ঘর নির্মাণকারীদের মধ্যে রয়েছে নুরুল আবছার, ছলেমা খাতুন, নুরুল ইসলাম, জাহাঙ্গির আলম। ছলেমা খতুন প্রতিবেদককে জানায় ‘আমরা নগদ টাকা দিয়ে জায়গা কিনেছি। এখানে এত বাধা বিপত্তি হবে আমরা তা জানতাম না।’ এদিকে দখল দেওয়া রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সাহস পাচ্ছে না স্থানীয় সচেতন লোকজন।
অভিযোগে আরো জানা যায়, রংমহল অলিবাপের ঝুম এলাকায় বনবিভাগের জায়গা দখল করতে স্থানীয় একটি মহল মোটা অংকের মিশনে নেমেছে। এরই লক্ষ্যে গত কয়েকদিন পূর্বে উপজেলার এক রাজনৈতিক নেতাকে ঢাকঢোল পিটিয়ে বরণ করে আমন্ত্রণ দেন। তার মাধ্যমে বনবিভাগের জায়গাটি ফুটবল খেলার মাঠ নাম দিয়ে দখলের পায়তারা করছে অসাধু চক্রটি। উল্লেখিত বনভূমি সংখ্যালঘুর লোকনাথ আশ্রম সংলগ্ন হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। বনবিভাগ প্রদত্ত ব্যক্তি মালিকানাধীন সামাজিক বনায়ন দখলকে কেন্দ্র করে স্থানীয় পক্ষ-বিপক্ষ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করা হচ্ছে। স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় সংগঠনের সভাপতি মিন্টু জানায় বনবিভাগের জায়গা দখলে নিতে এটি একটি ষড়যন্ত্র মাত্র।
ব্যক্তি মালিকানাধীন সামাজিক বনায়ন দখল ও আমাদের উপাসনালয়ের পার্শ্বে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে ফুটবল খেলার মাঠ নাম দিয়ে জায়গা দখলের পায়তারা চালাচ্ছে। এ অবৈধ কর্মকান্ডে অনুমোদন দেওয়া হলে কঠোর আন্দোলনে নামবেন বলে জানায় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ।
এ ব্যাপারে ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আবদুল মতিন বলেন, সামাজিক বনায়ন বা বনবিভাগের জায়গা দখলে নিয়ে খেলার মাঠ তৈরিতে আমি কাউকে অনুমতি দিইনি এবং দেবও না। ডিপো যদি অনুমতি দেয় তাহলে সেটা অন্য ব্যাপার।